অনেকেই বলে পুরা পৃথিবীর মসুলমানদের উপরেই শুধু নির্যাতন হচ্ছে, কথা খুব একটা মিথ্যাও না। ছোটবেলায় শুনতাম সোমালিয়ার কথা, প্যালেষ্টাইনেরতো শুনেই আসছি, ঈরাক, আফগানিস্তান এইসব কিছু দিয়ে বুঝাই যায় হ্যা একটা নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের উপর আক্রমন হচ্ছে। এখন কথা হইলো কেন খালি মসুলমানদের উপর নির্যাতন??
অনেক কারন আছে মসুলমানদের উপর আক্রমন করার। কারন এরাই সবচেয়ে দুর্বল। এদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য সবচেয়ে কম এবং এদের মধ্যে লোভ সবচেয়ে বেশি। দুর্বলদের উপর আক্রমন করবেই সবলেরা এটাই নরমাল। নিজেদের সবল না করলে সারাজীবন প্যাদানি খাইয়াই কাটানো লাগবে, এটাই নিয়ম। মসুলমানদের ঐক্য কম এইটা খুব সহজেই দেখা যায়, ঈরাকে আক্রমন করলো আমেরিকা আশেপাশের সবগুলা মসুলমান দেশগুলাই কিন্ত আমেরিকাকে সাহায্য করছে, এদের সাহায্য ছাড়া কোনদিনই এই আক্রমন সম্ভব হইতোনা। আফগানিস্তানে হামলায় পাকিস্তান নামক দেশটি পুর্ন সহযোগিতা করলো। মসুলমাদের সাহায্য নিয়াই মসুলমানদের গলা কাটতেছে পশ্চিমারা।
আর মসুলমানদের লোভের সবচেয়ে বড় নজির প্যালেষ্টাইন, এই ঈসরাঈলকে আরব ভুখন্ড ভাড়া দেওয়া হইছিলো টাকার লোভে পরেই। এখন ভাড়াটিয়া পুরা বাড়ি খাওয়ার পথে। পাকিস্তান নির্লজ্জ ভাবে আমেরিকার পা চাটে ঐ টাকার লোভেই।
এখন যখন তাবত দুনিয়ার সবাই জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাইয়া কই যাইতেছেগা আর আমরা আছি কে কেমন ড্রেস পরলো, কার জামা কতো টাইট আর কারটা কতো স্বচ্ছ এইসব নিয়া তর্ক নিয়া। ব্রিটিস শাষন আমলেও হিন্দুরা যখন শিক্ষাগ্রহন করে চাকরি বাকরি করে আগাইতা যাচ্ছিলো তখন মসুলমানরা শুধু ধর্মীয় শিক্ষা আর লেবাশ ঠিক করা নিয়া এতোই ব্যস্ত হইয়া পরে যে তারা ফরয কাজ কোনটা তাই ভুইলা গেছিলো, পরে ফরায়েজি আন্দোলন করা লাগছিলো ফরয কাজে মনযোগ আনার জন্য। আমাদের এখন অবস্থাও তাই , আর কে কি করলো, কি পরলো, কার সাথে কই গেলো এইসব নিয়া এতোই ব্যস্ত যে ফরয আমলের কথা মাথায় রাখার সুযোগ পাইনা। নিজেদের শক্তিশালি করতে হবে, এখন আপনি নিশ্চয় ঢাল তলোয়ার নিয়া যুদ্ধে যাবেননা?? খালি জুম্মা পইরা আল্লাহ তাবত মসুলমানদের শক্তি দাও বললেই আল্লাহ শক্তি দিবেনা। আল্লাহ জ্ঞান বুদ্ধি দিছে , ঐটা কাজে লাগাইয়া নিজেদের শক্তিশালি কইরা তারপর দোয়া করতে হবে।
বার্মার দাঙ্গার ব্যাপারে একদল লোক বলতেছে অসহায়দের আশ্রয় দিতে , আবার একদল নানা কারন দেখাইয়া মানা করতেছে। আমার কথা হইলো যারা মানা করতেছে অনেকেই নিজেদের ধর্মহীন মানুষ দাবী করে এবং মানবতাই তাদের ধর্ম এইটাও দাবী করে। তাহলে কোন যুক্তিতে তারা জীবন বিপন্ন মানুষদের বাচাইতে মানা করে?? তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলে আমাদের রাষ্ট্রের নানা বিপদের দিক তুলে ধরতেছে আবার রোহিঙ্গারা খারাপ তাও বলতেছে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রই তাদের কথার দিকে। এরাই শিখাচ্ছে মানুষ সবচেয়ে বড় সত্য, এরপর ধর্ম রাষ্ট্র সব। আপনাদের কাছে একটাই প্রশ্ন আমরা আগে মানুষ নাকি কোনো রাষ্ট্রের নাগরিক???????????

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





