আমার আজকের পোস্ট বনলতা মুনিয়া আপুকে ডেডিকেট করলাম। কয়েকদিন আগে উনার গালির পোস্ট দেখে পেন্সিল চোরেরও গালির উপর একটা পোস্ট সামুর তেলে ছাড়তে ইচ্ছা করলো।যাক এখন আমরা সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
গালি
গালি আমাদের সকলের খুব পরিচিত একটি নাম। আমাদের সকলের মুখে কম বেশি গালির কিছু না কিছু ছাপ দেখা যায়। কারন মানবসৃষ্ট মহৎ এবং শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিগুলোর মধ্যে গালি অন্যতম। গালির প্রচলন যে ঠিক কবে হয়েছিল তা হয়তো হলফ করে কেও বলতে পারবে না কিন্তু এই গালি নামের শব্দটি যদি দুনিয়াতে না থাকতো তাহলে আমি , আপনি , আমরা সবাই পেট ফুলে মারাই জেতাম। পৃথিবীতে অনেকেই আছে যারা আমার মত একটু দুর্বল এবং যাদের মারামারি করার মত শক্তি নেই , যাদের মামা চাচা বাপ ভাইয়ের জোর নাই তাদের প্রধান অস্ত্র হচ্ছে গালি। শক্তিশালীদের হাতিয়ার যদি হাত হয় তাহলে দুর্বলদের হাতিয়ার হচ্ছে গালি।
ছোটবেলার একটা গল্প বলি...
আমাদের এলাকায় অনেক ফালতু টাইপের কিছু বড় ভাই ছিল যারা খেলার মাঠে খেলতে গেলে অযথা কোন কারন ছাড়াই মাথার মধ্যে ঠুয়া মারত
সামনে পিছনে অথবা মনে মনে আমরা গালি দেই। ঢাকার জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকলে মন থেকে মেজাজ খারাপ করে যে বানীটি উচ্চারিত হয় সেটাই গালি। গালির অনেক ব্যাবহার আছে।বাজারে যান,তরকারির দাম শুনে আপনার চান্দির বাটি আউলাই গেল।কিন্তু কিচ্ছু করার নাই।তরকারীওয়ালার কাছে আপনি জিম্মি।এমতাবস্হায় আপনার ভান্ডার থেকে সুমধুর ২টা গালি দেন।কাকে গালি দিয়েছেন জানেননা।কিন্তু দিয়েছেন।এইবার দেখেন বহুত শান্তি লাগছে!সাধারন মানুষের আর্থ সামাজিক ব্যাবস্হায় গালির গুরুত্ব ব্যাপক। গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে ফোনে সুমধুর আলাপ করছেন এমন সময় যদি নেটওয়ার্ক ডাউন খায় তাহলে কিন্তু আগে মুখ থেক ‘ধ্যাত’ নামের একটা শব্দ চলে আসে। এইটাও গালির একটা উদাহরন। গালি নিয়ে বিজ্ঞ সমাজে কোন আলাপ না হলেও গালির মাহিত্ত কিন্তু বিন্দু মাত্র কমে নাইকা।
সকল যুদ্ধাপরাধীকেও আমরা গালি... আচ্ছা ওদের কথা বলে লাভ নাই কারন ওদের প্রত্তেকজনের নাম এক একটা গালি হয়ে গেছে।
যারা গালির উপরে থিসিস করতে চান তাদের জন্য সুখবর! আগামী মাসের যে কোনোদিন সকাল ১ টায় একটা সেমিনার হবে। যারা আসতে চান দয়া করে তিন তালার ডান পাশের রুমে আসবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




