somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম রহস্য ইষ্টার দ্বিপের মূর্তি এবং রোনকের অস্থায়ী বাসিন্ধা

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইষ্টার দ্বিপের মূর্তি
১৭২২ সালে বিশাল পাল যুক্ত জাহাজ যখন সর্ব প্রথম আসে ইষ্টার দ্বিপে তখন জাহাজের নাভিক আর স্কু সবাই খুবই ভয় পেয়েছিল দ্বিপটি দেখে।তারা দূর থেকে দেখতে পায়, সু-উচ্চ দ্বিপ থেকে দানবাকৃত অনেক মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই ঘাবড়ে গিয়েছিল, দানবাকৃত মানুষগুলো কোথা থেকে এলো আর কেনই বা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে? তারা লক্ষ্য করে দেখতে পায় দানবাকৃত মানুষগুলো নড়াচড়া করছে না! জাহাজের নাভিক নির্দেশ দিলেন আসতে আসতে জাহাজকে দ্বিপের কাছে নিয়ে যেতে। কাছে গিয়ে দেখতে পান, আসলে এগুলো আসলে দানবাকৃত মানুষ না, পাথরের মূর্তি!

ইষ্টার দ্বিপ হল প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট একটা দ্বিপ।দ্বিপটি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ২০০০ মাইল এর বেশী দুরুত্বে অবস্থিত। এটা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন একটা জায়গা।

সবচেয়ে বড় মূর্তি গুলোর উচ্চতা লম্বায় ৬০ ফুট যার ওজন ১০০টন এর বেশী। এছাড়া ছোট ছোট আরো ১০০টির মত মূর্তি রয়েছে যার উচ্চতা ১৫ ফুট। সবগুলো মূর্তিই পাথর দিয়ে তৈরি।আশ্চর্যের বিষয় হল, মূর্তিগুলোর মুখগুলো দেখতে খুবই ভাবগম্ভীর্যপূর্ন এবং চেহারায় কোন হাসি নেই।

অনেক আগে ইষ্টার দ্বিপের বাসিন্দারা ভলকানিক আগ্নেয়গিরির থেকে প্রাপ্ত পাথর দিয়ে মূর্তিগুলো তৈরি করেছিল বলে ধারনা করা হয়! পরবর্তীতে সেগুলো দ্বিপের সৈকতে নিয়ে রেখেছিল যা কিনা আগ্নেয়গিরি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। প্রাপ্ত হিসেব মতে এই দূরত্ব ১০ মাইল এর বেশী।

কেউ জানে না, কিভাবে দ্বিপের বাসিন্দারা এই মূর্তিগুলো সৈকতে নিয়ে রেখেছিল। কিছু বিজ্ঞানীর মতে, দ্বিপে অনেক আগে তাল গাছ ছিল। দ্বিপের বাসিন্দারা সেগুলো কেটে মূর্তিগুলো তার উপর রেখেছিল। পরে ৭০ জন বা তার অধিক মানুষ সেগুলো ঠেলে ঠেলে সৈকতে নিয়ে গিয়েছিল! অন্য অন্য বিজ্ঞানীরা এই তত্বকে ভুল বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কারন তাদের মতে সেখানে কখনই তাল গাছ ছিল না!

দ্বিপের বাসিন্দারা কিভাবে মূর্তিগুলো সেখানে নিয়ে গিয়েছিল আর তাদের উদ্দেশ্যই বা কি ছিল? তা আজও পৃথিবীর মানুষের কাছে রহস্য।

রোনকের অস্থায়ী বাসিন্ধা


ষোলশ শতকে উত্তর আমেরিকাতে অল্প কিছু ইউরোপিয়ান বাস করত । ১৫৮৭ সালে, ১০০ জন মানুষের একটা ছোট গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণে যাওয়ার। তারা রোনক নামক ছোট একটা দ্বিপে গিয়ে উঠে যেটা পরবর্তীতে নর্থ কেরোলিনার প্রদেশ হয়।

দুঃখ্য জনক-ভাবে এটা সত্যি যে একটা দ্বিপে উঠার জন্য যেই পূর্ব প্রস্তুতি দরকার তা তাদের ছিল না। শীতের সময়ের জন্য পর্যাপ্ত খাবার এবং চাষাবাদের জন্য বীজ এর অভাব ছিল।এমতাবস্থায়, তাদের নেতা নাবিক হোয়াইট সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড এ ফিরে গিয়ে প্র্য়োজনীয় জিনিষ নিয়ে আসার। সেই সময় ইউরোপে যুদ্ধ চলছিল তাই নাভিক হোয়াইট ইংল্যান্ডে এসে আর দ্বিপে ফিরে যেতে পারেননি।

তার তিন বছর পর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নাভিক হোয়াইট দ্বিপে যান। আশ্চর্যের ব্যাপার তিনি জাহাজ করে দ্বিপে গিয়ে কাউকেই দেখতে পেলেন না। সম্পূর্ন জনমানব শূন্য মরুভূমি ছারা আর কিছুই দেখতে পেলেন না তিনি।

কেউ জানে না, এতোগুলো মানুষ কোথায় হারিয়ে গেল! অনেকেই মনে করেন আমেরিকানরা তাদের হত্যা করেছে কিন্তু সেখানে হত্যার কোন নিশানা ছিল না! আবার অনেকে বলেন , না খেয়ে বা রোগে ভূগে মারা গেছে লোকগুলো কিন্তু তাহলে দেহ গুলো গেল কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেনি।

এই ঘটনাও পৃথিবীর মানুষের কাছে আজও রহস্যময়।

মেরি চেলেস্ট জাহাজ এবং মোনাস প্রজাপ্রতি ভ্রমণ রহস্য

(পূর্ব-প্রকাশীত )
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×