গত তিন দিনের টানা বর্ষণে চবন্দরনগরী চট্টগ্রামের অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও কোমরপানিতে তলিয়ে গেছে নগরী। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে সাধারণত নীচু এলাকাগুলো বিশিষ করে হালিশহর, মুরাদপুর, পতেঙ্গা, চকবাজারে, আগ্রাবাদ পানি উঠতে দেখা যায়। কিন্তু এবার এই এলাকাগুলো ছাড়াও বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, দেওয়ানবাজার, কাপাসগোলা, শুলকবহর, বিবিরহাট, পাঁচলাইশ ও কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকাসহ নতুন নতুন অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
প্লাবিত এলাকাগুলোর নিচতলার বেশিরভাগ বাসা-বাড়ি, গ্যারেজ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে লেপ-তোষক, সোফার গদি, গাড়ির মূলবান যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। নগরীর দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর ও বাকলিয়া এলাকায় পানিতে আটকা পড়েছে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশাসহ বেশ কিছু ইঞ্জিনচালিত গাড়ি।
চান্দগাঁও-মুরাদপুর-বাকলিয়া এলাকার বেশির ভাগ মানুষকে সকালে কোমরপানি ভেঙে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারসদাই করতে হয়েছে। তেমনই একজন শুলকবহর এলাকার গৃহিণী রাবেয়া আকতার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘সামান্য বৃষ্টিতেই এখন পানি ওঠে আমাদের এলাকায়। সহ্যেরও তো একটা সীমা আছে। আমরা কর্পোরেশনকে ট্যাক্স দিই, সরকারকে ট্যাক্স দিই। তারা আমাদের দুর্ভোগ দেখে না। কোনো কাজ করে না।’’
এই ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশন বলছে, যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে নালা ও খালগুলোর ধারণক্ষমতা তার চেয়ে অনেক কম। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে পানি নেমে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি উঠে যাচ্ছে।
নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী পূর্বাভাষ কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া দফতর। এরপর সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৫ মিলিমিটার। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৯১ মিলিমিটার।
এদিকে কিছুক্ষণ আগের প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, রানওয়ে ও টারমাকের অনেকাংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার বিকেলে সব ধরনের উড়ান ও অবতরণ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
View this link
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




