টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে মাটি চাপা পড়ে ও দেয়াল ধসে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো কয়েক জন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, মাটির নীচে আরো মৃতদেহ আটকা পরে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরীর খুলশী থানাধীন আকবর শাহ মাজার সংলগ্ন কবর স্থান পাহাড়ের ধসে ৪০ থেকে ৫০ টি ঘর চাপা পড়েছে। সেখান থেকে এ পর্যন্ত শানু (১৬), অজ্ঞাত আরো এক মহিলা ও তার কোলে থাকা এক শিশুর লাশ ও ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলছে।
গঠনা স্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. মসজুর আলম ও জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এই ব্যাপারে মেয়র বলেন, বারবার সতর্ক করার পরও মানুষ যদি পাহাড়ের পাদদেশে থাকে তাহলে আর কি করার আছে, আমরা উচ্ছেদ করেছি, আবার তারা আসে। জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ জানান, অনেকের লাশ এখনো মাটির নিছে রয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা উদ্ধার কাজে অংশ নিতে সেনাবাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছি।
এদিকে একই থানার আরো দুইটি স্থানে পাহাড় ধনে এই পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহফুজুল আলম জানান, খুলশী থানাধিন জালালাবাদের আন্দার মানিক এলাকায় পাহাড় ধসে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাহাড়ের অনেক ভিতরে হওয়ায় এবং বিদ্যুত না থাকায় উদ্ধার কাজ সকালে শুরু হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে একই এলাকার আমবাগান কলোনীতে ব্যক্তি মালিকানায় জায়গায় দেয়াল ধসে আবুল হোসেন (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফরিদ মিয়ার ছেলে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এলাকার মা ভবনের পাশে মো. ফারুকের বাড়ির দেয়ালচাপা পড়ে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। এসময় সে সেখানে খেলা করছিল। চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
উল্লেখ্য ২০০৭ সালে জুন মাসে প্রবল বর্ষণে বন্দরনগরীর লীচু বাগান এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গত কয়েকদিনের বর্ষণের পর মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে আরো কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে।
পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সববাসকারীদের সরে যেতে কয়েকদিন ধরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও হচ্ছিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




