somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায় যাচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ! অশ্লীলতা এখন মসজিদেও

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনাটি গত রমজান মাসের। তারাবীর নামাজ তেমন একটা পড়ি না। কিন্তু কোন এক প্রয়োজনে এক বন্ধুর কাছে গেলে তার সাথে বাধ্য হয়েই তারাবী পড়তে গেলাম। গরমের কারণে এবং বিশ্রামের সুবিধার্থে পেছনের দিকে দাঁড়ালাম।
এক সময় খেয়াল করলাম মসজিদের উত্তর কর্ণারে (যেখানে আমি দাঁড়িয়েছি) চার-পাঁচটি ছেলে জটলা বেঁধে কিছু একটা করছে। তারা তাদের কাজ করুক, আমার সমস্যা কোথায়! তাই আমি বসে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি,এ সময় দেখলাম একটি ছেলে বাহির হয়ে গেল। ইমাম রুকুতে গেলে তখন আমি উঠে দাঁড়ালাম নামাজের জন্য। হঠাৎ শুনলাম আরেকটি ছেলে বাহির হয়ে যাওয়া ছেলের আসতে দেরি কেন তা কাউকে জিজ্ঞেস করছে। জবাবে যা আসলো কতা শুনে রীতিমতো আমি ব্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম, শুরু হয়ে গেল আমার শরীরের কম্পন, আমার পক্ষে আর নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আজ পর্যন্ত চিন্তা করে কোন সমাধান পাইনি, কিভাবে আমাদের তরুণ সমাজের এতটা অধপতন হতে পারে! এ জাতি তাদের তরুণ থেকে আর কিভাবে ভাল কিছু আশা করতে পারে!! এখনো মাজে মাজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় হঠাৎ করে যখন ঘুমের ভেতর সেই কথাগুলো প্রতিধ্বনি হয়। আমার বিশ্বাস আপনারা যারা এই বিষয়টি যানবেন তাদেরও হজম করতে কষ্ট হবে বিষয়টি। বিষয়টি এমন যে তা এখানে প্রকাশের ভাল কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আমি। বলতে কষ্ট হচ্ছে, তারপরও বলছি।
ছেলেগুলোর কথোপকথনের সারমর্ম হল, ছেলেগুলো এতক্ষণ ধরে মসজিদের কর্ণারে বসে বসে এমন কোন ভিডিও দেখছিল, যা দেখে বাহিরে যাওয়া ছেলেটির কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়! তাই সে পরিষ্কার হতে টয়লেটে গেছে।
ছি! কি লজ্জা তাই না!! কিন্তু এটি একেবারেই খাটি সত্য কথা! এমনটিই করছে আমাদের টিন এজরা, যাদের উপর নির্ভর করছে একটি দেশ, একটি জাতি। কিন্তু তারা, তাদের সেই তারুণ্যকে এই ভাবেই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর এসব আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই উসৃঙ্খল তারুণ্যকে আমরা উৎসাহিত করছি।
ভনাটি গত রমজান মাসের। তারাবীর নামাজ তেমন একটা পড়ি না। কিন্তু কোন এক প্রয়োজনে এক বন্ধুর কাছে গেলে তার সাথে বাধ্য হয়েই তারাবী পড়তে গেলাম। গরমের কারণে এবং বিশ্রামের সুবিধার্থে পেছনের দিকে দাঁড়ালাম।
এক সময় খেয়াল করলাম মসজিদের উত্তর কর্ণারে (যেখানে আমি দাঁড়িয়েছি) চার-পাঁচটি ছেলে জটলা বেঁধে কিছু একটা করছে। তারা তাদের কাজ করুক, আমার সমস্যা কোথায়! তাই আমি বসে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি,এ সময় দেখলাম একটি ছেলে বাহির হয়ে গেল। ইমাম রুকুতে গেলে তখন আমি উঠে দাঁড়ালাম নামাজের জন্য। হঠাৎ শুনলাম আরেকটি ছেলে বাহির হয়ে যাওয়া ছেলের আসতে দেরি কেন তা কাউকে জিজ্ঞেস করছে। জবাবে যা আসলো কতা শুনে রীতিমতো আমি ব্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম, শুরু হয়ে গেল আমার শরীরের কম্পন, আমার পক্ষে আর নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আজ পর্যন্ত চিন্তা করে কোন সমাধান পাইনি, কিভাবে আমাদের তরুণ সমাজের এতটা অধপতন হতে পারে! এ জাতি তাদের তরুণ থেকে আর কিভাবে ভাল কিছু আশা করতে পারে!! এখনো মাজে মাজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় হঠাৎ করে যখন ঘুমের ভেতর সেই কথাগুলো প্রতিধ্বনি হয়। আমার বিশ্বাস আপনারা যারা এই বিষয়টি যানবেন তাদেরও হজম করতে কষ্ট হবে বিষয়টি। বিষয়টি এমন যে তা এখানে প্রকাশের ভাল কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আমি। বলতে কষ্ট হচ্ছে, তারপরও বলছি।
ছেলেগুলোর কথোপকথনের সারমর্ম হল, ছেলেগুলো এতক্ষণ ধরে মসজিদের কর্ণারে বসে বসে এমন কোন ভিডিও দেখছিল, যা দেখে বাহিরে যাওয়া ছেলেটির কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়! তাই সে পরিষ্কার হতে টয়লেটে গেছে।
ছি! কি লজ্জা তাই না!! কিন্তু এটি একেবারেই খাটি সত্য কথা! এমনটিই করছে আমাদের টিন এজরা, যাদের উপর নির্ভর করছে একটি দেশ, একটি জাতি। কিন্তু তারা, তাদের সেই তারুণ্যকে এই ভাবেই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর এসব আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই উসৃঙ্খল তারুণ্যকে আমরা উৎসাহিত করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৩
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতার আসনে বেশী দিন থাকা শাসকদের মাঝে খালেদা জিয়া সর্বসেরা

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৩



আমার এক ছাত্র চাকুরীর পরীক্ষায় ৫২ নম্বর পেয়ে ৩ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছিল। দ্বিতীয় জন পেয়েছিল ৪৯ নম্বর এবং তৃতীয় জন পেয়েছিল ৪৭ নম্বর। সে হিসাবে খালেদা জিয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

বেগম খালেদা জিয়াঃ এক দৃঢ়চেতা, সাহসী অধ্যায়ের সমাপ্তি

লিখেছেন সামহোয়্যারইন ব্লগ টিম, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৭



প্রিয় ব্লগার,
আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়া আর আমাদের মাঝে নেই, ইন্না লিল্লাহি ওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপসহীনতার নাম খালেদা জিয়া: যন্ত্রণার বিনিময়ে গণতন্ত্রের প্রাচীর

লিখেছেন জুয়েল তাজিম, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৭



ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে একাত্তরের বিভীষিকায় বন্দিত্ব, অল্প বয়সেই বিধবা হওয়া—বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের শুরুটাই ছিল যন্ত্রণার অধ্যায়। এরপর ইতিহাস যেন তাঁকে একের পর এক কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু রাজনীতির মাঠে বিরাট শূন্যতা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

 
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম খালেদা জিয়া এক উল্লেখযোগ্য চরিত্র। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি দলটির হাল ধরেন। সেনানিবাসে গড়ে উঠা দলটাকে রাজপথে বেড়ে উঠতে গৃহবধূ থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খালেদা জিয়া মরিয়া প্রমাণ করিলেন , তিনি মরেন নাই ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮


বেগম খালেদা জিয়া মারা গেছেন। এই খবরে জাতি শোকাহত। কিন্তু একদল মানুষ আছে যারা উনার মৃত্যুর পরেও নিজেদের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে তার মৃত্যু নিয়ে ঘৃণ্য মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বদনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×