ঘটনাটি গত রমজান মাসের। তারাবীর নামাজ তেমন একটা পড়ি না। কিন্তু কোন এক প্রয়োজনে এক বন্ধুর কাছে গেলে তার সাথে বাধ্য হয়েই তারাবী পড়তে গেলাম। গরমের কারণে এবং বিশ্রামের সুবিধার্থে পেছনের দিকে দাঁড়ালাম।
এক সময় খেয়াল করলাম মসজিদের উত্তর কর্ণারে (যেখানে আমি দাঁড়িয়েছি) চার-পাঁচটি ছেলে জটলা বেঁধে কিছু একটা করছে। তারা তাদের কাজ করুক, আমার সমস্যা কোথায়! তাই আমি বসে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি,এ সময় দেখলাম একটি ছেলে বাহির হয়ে গেল। ইমাম রুকুতে গেলে তখন আমি উঠে দাঁড়ালাম নামাজের জন্য। হঠাৎ শুনলাম আরেকটি ছেলে বাহির হয়ে যাওয়া ছেলের আসতে দেরি কেন তা কাউকে জিজ্ঞেস করছে। জবাবে যা আসলো কতা শুনে রীতিমতো আমি ব্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম, শুরু হয়ে গেল আমার শরীরের কম্পন, আমার পক্ষে আর নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আজ পর্যন্ত চিন্তা করে কোন সমাধান পাইনি, কিভাবে আমাদের তরুণ সমাজের এতটা অধপতন হতে পারে! এ জাতি তাদের তরুণ থেকে আর কিভাবে ভাল কিছু আশা করতে পারে!! এখনো মাজে মাজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় হঠাৎ করে যখন ঘুমের ভেতর সেই কথাগুলো প্রতিধ্বনি হয়। আমার বিশ্বাস আপনারা যারা এই বিষয়টি যানবেন তাদেরও হজম করতে কষ্ট হবে বিষয়টি। বিষয়টি এমন যে তা এখানে প্রকাশের ভাল কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আমি। বলতে কষ্ট হচ্ছে, তারপরও বলছি।
ছেলেগুলোর কথোপকথনের সারমর্ম হল, ছেলেগুলো এতক্ষণ ধরে মসজিদের কর্ণারে বসে বসে এমন কোন ভিডিও দেখছিল, যা দেখে বাহিরে যাওয়া ছেলেটির কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়! তাই সে পরিষ্কার হতে টয়লেটে গেছে।
ছি! কি লজ্জা তাই না!! কিন্তু এটি একেবারেই খাটি সত্য কথা! এমনটিই করছে আমাদের টিন এজরা, যাদের উপর নির্ভর করছে একটি দেশ, একটি জাতি। কিন্তু তারা, তাদের সেই তারুণ্যকে এই ভাবেই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর এসব আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই উসৃঙ্খল তারুণ্যকে আমরা উৎসাহিত করছি।
ভনাটি গত রমজান মাসের। তারাবীর নামাজ তেমন একটা পড়ি না। কিন্তু কোন এক প্রয়োজনে এক বন্ধুর কাছে গেলে তার সাথে বাধ্য হয়েই তারাবী পড়তে গেলাম। গরমের কারণে এবং বিশ্রামের সুবিধার্থে পেছনের দিকে দাঁড়ালাম।
এক সময় খেয়াল করলাম মসজিদের উত্তর কর্ণারে (যেখানে আমি দাঁড়িয়েছি) চার-পাঁচটি ছেলে জটলা বেঁধে কিছু একটা করছে। তারা তাদের কাজ করুক, আমার সমস্যা কোথায়! তাই আমি বসে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি,এ সময় দেখলাম একটি ছেলে বাহির হয়ে গেল। ইমাম রুকুতে গেলে তখন আমি উঠে দাঁড়ালাম নামাজের জন্য। হঠাৎ শুনলাম আরেকটি ছেলে বাহির হয়ে যাওয়া ছেলের আসতে দেরি কেন তা কাউকে জিজ্ঞেস করছে। জবাবে যা আসলো কতা শুনে রীতিমতো আমি ব্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম, শুরু হয়ে গেল আমার শরীরের কম্পন, আমার পক্ষে আর নামাজে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আজ পর্যন্ত চিন্তা করে কোন সমাধান পাইনি, কিভাবে আমাদের তরুণ সমাজের এতটা অধপতন হতে পারে! এ জাতি তাদের তরুণ থেকে আর কিভাবে ভাল কিছু আশা করতে পারে!! এখনো মাজে মাজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায় হঠাৎ করে যখন ঘুমের ভেতর সেই কথাগুলো প্রতিধ্বনি হয়। আমার বিশ্বাস আপনারা যারা এই বিষয়টি যানবেন তাদেরও হজম করতে কষ্ট হবে বিষয়টি। বিষয়টি এমন যে তা এখানে প্রকাশের ভাল কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আমি। বলতে কষ্ট হচ্ছে, তারপরও বলছি।
ছেলেগুলোর কথোপকথনের সারমর্ম হল, ছেলেগুলো এতক্ষণ ধরে মসজিদের কর্ণারে বসে বসে এমন কোন ভিডিও দেখছিল, যা দেখে বাহিরে যাওয়া ছেলেটির কাপড় অপবিত্র হয়ে যায়! তাই সে পরিষ্কার হতে টয়লেটে গেছে।
ছি! কি লজ্জা তাই না!! কিন্তু এটি একেবারেই খাটি সত্য কথা! এমনটিই করছে আমাদের টিন এজরা, যাদের উপর নির্ভর করছে একটি দেশ, একটি জাতি। কিন্তু তারা, তাদের সেই তারুণ্যকে এই ভাবেই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আর এসব আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, অনেক ক্ষেত্রে তাদের এই উসৃঙ্খল তারুণ্যকে আমরা উৎসাহিত করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




