মানুষকে হত্যা করা হয়। আবার মানুষ আত্মহত্যাও করে। আত্মহত্যাটাও এক ধরনের হত্যা। সেটা পরোক্ষভাবে।
পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে কোনো নারী ধর্ষিতা হয়েছে, না হয় এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছে। আর পারিবারিক নির্যাতন, এটা নিত্যদিনের কথা। হোক শারীরিক, না হয় মানসিক।
নানা রকম নির্যাতনের শিকার হতে হতে নারী একসময় দিশেহারা হয়ে যায়। নারী এই যন্ত্রণা ও অভিমান যখন সহ্য করতে না পারে তখন তার সব স্বপ্ন ভেঙে যায়। এমনকি সে বেঁচে থাকার স্বপ্নও দেখে না। সে মুক্তি চায়। মুক্তির অনেক পথ আছে। সে পথে অধিকাংশ নারী সফল হয় না। তাই শেষ পর্যন্ত বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ। এই যন্ত্রণা থেকে সাময়িক মুক্তি নয়, চির মুক্তি। মৃত্যু মানুষকে সব ধরনের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। এ কথা সবাই জানে। তবে এটাও জানতে হবে। মৃত্যু দিয়ে কিছু জয় করা যায় না। কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
যদি পরিবর্তন হতো, তাহলে এত নারীকে আত্মহত্যা করতে হতো না। এক নারীর আত্মহত্যার পর থেমে যেত। এসিডে ঝলসানোর শিকার হতে হতো না। হতো না পারিবারিক নির্যাতন। থাকত না যৌতুক যন্ত্রণা।
কিন্তু কই? থামছে না। আরও দিন দিন বাড়ছে। অসংখ্য নারী প্রাণ দিচ্ছে। আরও কত কী? তাহলে আত্মহত্যা কেন? প্রতি নারীকে ধৈর্যের সঙ্গে সব সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে আত্মহত্যা করে নিজে মুক্তি পাওয়া যায়; কিন্তু এই নারী জাতি, এই সমাজ তো মুক্তি পায় না না।
মৃত্যু নয়, বেঁচে থাকতে হবে কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে, কারও যন্ত্রণায় আত্মহত্যা না করে।
বেঁচে থাকার অধিকার সবার আছে। বেঁচে থেকে সব নির্যাতনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। নিজেকে দুর্বল ভাবা যাবে না। আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। মনে রাখতে হবে নারী যদি নিজেকে অসহায় মনে করে তখন নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। আপনার মনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। আর কোনো আত্মহত্যা নয়। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার চাই। নারী-পুরুষ সবাই মিলে নির্যাতনমুক্ত একটা সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে জেগে উঠুক সুস্থ বোধসম্পন্ন সচেতন মানুষ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




