অ্যামেরিকার নির্বাচন সামনে রেখে অনলাইন সেন্সরশিপ জোরালো করলো ফেইসবুক।
অসত্য, অবৈধ, গুজব, বা মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডামূলক খবরের এবং কপিরাইট লংঘনের বিরুদ্ধে শক্তহাতে আইন সাথে নিয়ে দাঁড়াবে এবার ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ। দু
এখন থেকে ব্যবহারকারীর আলাদা অনুমতি ছাড়াই 'প্রয়োজনে' আপনার পৌস্ট, মন্তব্য, গ্রুপ, বিজ্ঞাপন, বা পেইজ মুছে ফেলতে পারবে।
এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ফেইসবুক নিজেদের আরো সুরক্ষিত করলো ভবিষ্যতের অজানা মামলা মোকদ্দমা থেকে।
Facebook প্রতিদিন অসংখ্য অনুরোধ পায় বিভিন্ন মাধ্যমে যেখানে জানতে চাওয়া হয় ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত তথ্য বিষয়ে যা সাধারণত ব্যবহারকারী আর ফেইসবুক কর্তৃপক্ষই জানেন। ফেইসবুক নিজেই জানাচ্ছে যে, 'Government officials sometimes make requests for data about people who use Facebook as part of official investigations.'
যদিও এটা সত্যি যে এতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও লাভবান হবে, তবে, এতে মূলতঃ সুবিধা পাবে জনবিচ্ছিন্ন সরকার ও একনায়কতান্রিক শাসক গোষ্ঠী। ফেইসবুকের নীতির এই পরিবর্তন সেই গোষ্ঠীরই ক্রমবর্ধমান চাপের সাথে আপোষ করা হয়েছে বলে অনেকের কাছেই মনে হতে পারে।
তাই লাভের গুড় পিপড়ারই খাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না যেহেতু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশেই আইন সরকারি স্বার্থ মেনে চলে। বিরোধী মত দমনপীড়নের রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পারে এই সেকশ্যন ৩.২।
এই লেখাটির সাথে যুক্ত করা পরিসংখ্যান ১ এ দেখতে পাবেন ১৯১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বার, এই ছয়মাসে কোন দেশ কতবার ফেইসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে অনুরোধ করেছে। তালিকাটি প্রাসঙ্গিক রাখতে সংক্ষেপ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান ২ এ দেখবেন ১৯১৯ এর প্রথম ছয়মাসের শুধু অ্যামেরিকার উপাত্ত।
ভাব প্রকাশের সূলভ মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ফেইসবুকের অধোগমনের যে ধারা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে এটি তারই একটি পর্যায়ক্রমিক ধাপ বলে আমি মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১১