ধর্ষণের বিচার চেয়ে নতুন আইন করা বা ধর্ষকের কঠিনতম শাস্তি নিশ্চিত করতে পারাকে বৃহত্তর স্বার্থে বিজয় বলা যাবে না। বিজয় তখনই নিশ্চিত হবে যখন বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে।
'বিচার বিভাগ এখন স্বাধীন' - এই মিথ্যাটি তাঁদের জন্যই সত্য যাদের ক্ষমতা আছে। যেমন, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার। ওবায়দুল কাদের। যারা প্রভাবশালী বা প্রভাব বলয়ের মধ্যেই যাদের বসবাস। যেমন, কিছু মন্ত্রী, এমপি, আমলা, প্রশাসন এবং এঁদের সাথে যাদের সুসম্পর্ক তাঁদের কাছে বিচার বিভাগ খুবই স্বাধীন। আর 'শুধু' দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কাছেও স্বাধীন যাদের অর্থের কোনও অভাব নেই, উৎসেরও শেষ নেই।
এইতো কয়দিন আগে রাজনীতি থেকে বহুদুরের এক বন্ধুকে তার গ্রামের বাড়িতে বিপদে ফেলা হলো। কিছুতেই কিছু হলো না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে গণভবনে যেতে পারলো।
কজনের সেই ক্ষমতা আছে?
এইযে আমার আওয়ামি বন্ধুরা যখন তখন বঙ্গবন্ধুর নামে জান কোরবান করে, বিপদে পড়লে সেও নিরাপদ না। সেটা ওরা জানে। ওকেও শক্তিবলয়ের কাউকে না কাউকে ধরতে হবে। এই তথাকথিত স্বাধীনতার উপর ওঁদেরও বিশ্বাস নেই।
কাউকে না কাউকে ধরতেই হবে বিচার পেতে হলে। ন্যায়বিচার বা সুবিচার পেতে আরও অনেক কিছুই করতে হতে পারে। এই সহজ সত্যিটা বুঝার জন্য তিনবার মন্ত্রী হতে হয়না। একবার বাংলাদেশে জন্ম নেয়াই যথেষ্ট।
কেয়ারটেকার সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশটা হঠাৎ করেই সুবোধ বালক হয়ে যায়। কেন? কেন জনগণের একটা বড় অংশই চায় উনারাই দেশটা চালাক?
কারণ জনগণ শুধু শান্তিতে দুমুঠো খেতে চায়, নিরাপদে ঘরে ফিরতে চায়, সন্তানের সুস্থ বেড়ে উঠা দেখতে চায়। জনগণ আম্লিগ, বিম্পি দিয়ে ইঁদুরের পাছাও মুছেনা।
যতদিন এমন দেশটি না হবে, প্রতিবাদ চলতে থাকুক।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:১৯