বাকি সবার কথা জানিনে , তবে একখানা ল্যাপটপ জোগাড় করতে আমাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
না, মা-বাবার কাছে আবদার করিনি। নিজের টাকায় ও কিনিনি কেননা সে সামর্থ্যো এখনো হয়নি ।
তবে ?
হ্যাঁ , আমার এক দূর সম্পর্কের চাচা আছে। নিজের আপন চাচারাও হয়ত এমনটি করবে না। আমার ক্যারিয়ার এর ক্লান্তিলগ্নে আমি তাকে পাশে পেয়েছি। সূদূর আমেরিকা প্রবাসী হলেও ঠিক ঐ সময়েই কিভাবে যেন আমি তাকে পাশে পেয়েছি। তার চিন্তাধারার সাথে আমার চিন্তাধারার অনেক মিল খুঁজে পেয়েছি। তিনি বলতেন , আমি জাতি স্বত্তায় বাঙালী, মননে আমেরিকান , ধর্মে মুসলিম আর পেশায় একজন ক্যাব ড্রাইভার ।
যাই হোক, এই লেখার প্রসঙ্গ হচ্ছে প্রযুক্তি পণ্যের সঠিক ব্যাবহার। আমার এখনো মনে পড়ে , ল্যাপটপ হাতে পাওয়ার সাথে সাথে এইটা ওইটা গেমস ইন্সটল করে পুরোদমে ৩-৪ মাস খেলছি। পরে ভেবে দেখলাম এইটাও একটা আসক্তি, কখোনোই গেমস খেলা স্কিল হতে পারে না, হতে পারে গেমস তৈরি করা। আমার ছোট ভাই ও আমার দেখগাদেখি গেমস এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ল। তাই ভেবে চিনতে দিলাম সব গেমস ডিলিট করে।
এইবার আছে মুভি আর মিউজিক । মাঝে মাঝে মুভি দেখাটা ভাল, তবে এই মুভি আসক্তি ও ভালো নয়। আর মিউজিক এর কোন বালাই নাই । কোন একটা কাজ করতেছেন, মিউজিক ছেড়ে দেন ।
এরপর আসি মাইক্রোসফট অফিস এ । আমার মতে প্রত্যেক কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর এই সফটওয়্যার টার উপর কমবেশি জ্ঞান থাকা উচিত। এইটাও কিছুদিন নিজে নিজে প্র্যাকটিস করায় এসে গেল। টাইপিং স্পীড ও হলো মোটামুটি ।
এরপর হাত দিলাম গ্রাফিক্স এর কাজে , যেটার তল কিনারা আমি এখনো খুঁজে পাচ্ছি না। পাশাপাশি কোর্স রিলেটেড সফটওয়্যার যেমন Codeblocks, AutoCad , Multisim এইগুলার ব্যাবহার তো আছেই।
আরেকটা জিনিস শুরু করলাম বিভিন্ন বিষয় এর লেকচার টিউটোরিয়াল সংগ্রহ করা ও বাসায় চর্চা করা।
এইসব করে আমার কি লাভ হইছে জানি না তবে ছোট ভাইটার চিন্তাধারায় অনেক পরিবর্তন আনতে পারছি। সে এখন আর আগের মত গেম খেলতে চায় না, চায় কি-বোর্ড এ টাইপিং করতে। যদিও মুভি দেখতে চায় এখনো পাশাপাশি আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করছি আমাকে গ্রাফিক্স এর কাজ করতে দেখে সেও কই থেকে একটা সুন্দর ডিজাইন আর্ট করে নিয়ে আসছে আর বলে, এইটা ডুজাইন কর কম্পিউটারে।
মোবাইল এর কথা বললাম না। এইটার ভাল মন্দ না হয় আরেকদিন হবে।