তখন স্কুলে পড়তাম।ক্লাস টেনে আমাদের পাঙ্খা গজিয়েছিলো।বিভিন্ন স্যারের বাসায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সুবাদে ফাকিবাজি করার বিশাল সুযোগ পেয়ে গেলাম।আমরা সকাল থেকে রমনা,ঢাবিতে ভীড়ের মধ্যে হৈ হুল্লোড় করে কাটালাম।গলা ছেড়ে গান করলাম।
নববর্ষের দিন বন্ধু শিশিরের জন্মদিন।দুপুরে শিশিরের জন্মদিন উপলক্ষে দাওয়াত।সবাই ক্লান্তি নিয়ে হাজির হলাম শিশিরের বাসায়।আমরা ১১টার দিকে ওদের বাসায় গিয়ে হাজির হয়েছিলাম।আন্টি খাবার রেডী করে ১২টার দিকে আমাদের ডাকলেন কিন্তু আমাদের টেবিলে গিয়ে খাওয়ার মতো শক্তি ছিলো না।আন্টি খাবার প্লেটে নিয়ে ড্রয়িং রুমে আমাদের হাতে এক এক করে তুলে দিতে লাগলেন। পুরো ড্রয়িং রুম তখন ডাইনিং টেবিল।কি যে অবস্থা।এক পাল অসভ্য বান্দরের পাল্লায় পড়ে ডাইনিং রুমের চেহারা পরিবর্তিত।শিশিরের মা আমাদের জন্য কমসে কম ১২ পদ রান্না করেছিলেন।সে কি মেনু!!!!!!!!আমরা সবাই রাক্ষসের মতো খাচ্ছিলাম।আন্টি অনেক আদর করে আপ্যায়ন করছিলেন।তখন বিটিভি তে রমনার বটমূল থেকে ফেলা নববর্ষের লাইভ অনুষ্ঠান চলছিলো । আমরা খাওয়া শেষ করতে পারিনি।হঠাৎ টিভি পর্দা ধোয়ায় আচ্ছন্ন।আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে আছি ।এটা কি দঃস্বপ্ন নাকি সত্যি হচ্ছে।রমনা বটমূলের বোমা হামলা।বাংলাদেশের কোনো মানুষ এতো বর্বোরোচিত হামলা চালাতে পারে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো।
শিশিরের বাসায় দাওয়াত না থাকলে হয়তো আজকে আমার ব্লগ লেখা হতো না।অক্ষম,অপারগ মানুষের একমাত্র অস্ত্র গালি।মানুষরুপী পিশাচদের জন্য ঘৃণা,ধিক্কার।এসব পিশাচ পচে মরবে।এদের ১৪ গোষ্ঠী পচে মরবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




