০৩ জুলাই, শুক্রবার (আরটিএনএন)- বিদেশে পালিয়ে থাকা অপরাধী ও গডফাদারদের তথ্য সংগ্রহ করতে দূতাবাসগুলোকে নিদের্শ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দীপু মনি। শুক্রবার সকালে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অভিবাসী বাংলাদেশীদের মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে দূতাবাসগুলোতে ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশে এবং বিদেশে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অংশ হিসেবে এই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিদেশে যেতে রিক্রুটিং এজেন্সীগুলো অতিরিক্ত টাকা নিয়ে শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে। তবে বায়রা সভাপতি গোলাম মোস্তফা বললেন, শিগগিরই অভিবাসন ব্যয় কমানোর ঘোষণা আসছে।
সেমিনারে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কয়েকজন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ থেকে কিছু অপরাধী শ্রমিকের ছদ্মবেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে এবং তারা অপরাধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। প্রবাসীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. দিপু মনি বলেন, অভিযোগ তদন্ত করা করা হবে। ১৯৮৩ সালের জনবল কাঠামো দিয়ে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো চলার কারনে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীরা সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে না বলেন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনাবাসী বাংলাদেশীদের অন্য একটি সেমিনারে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই জাতীয় মানবাধিকার আইন পাশ করা হবে। এই আইনে প্রবাসীরা মানবাধিকার বিষয়ে অভিযোগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, মানবাধিকার কমিশন অভিযোগ পেলে নিজেই তদন্ত করতে পারে। তিনি বলেন ‘আমি ৯ তারিখের মধ্যেই পাশ করতে পারবো।’
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৫ লাখ অভিবাসী বাংলাদেশী কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়ের সবচেয়ে বেশি আসে এই অভিবাসীদের কাছে থেকে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সময় হয়রানি বা প্রতারণার শিকার হতে হয় অনেক অভিবাসীকে। অনেককে আবার বিদেশ যেয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরতে হয়। অভিবাসীরা অনেক দিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠানো এই জনগোষ্ঠী বিদেশে বাংলাদেশী মিশন থেকে পর্যাপ্ত সেবা পান না। দেশে ফেরার সময়ও এয়ারপোর্টে তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়
সূত্র: link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




