ওবায়দুল কাদের রীতিমতো বিএনপির পরামর্শদাতা বা উপদেষ্টা রূপে আর্বিভূত হয়েছে !
এদানিং মিডিয়ায় আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর বিএনপি সমাচার নিয়ে শিরোনাম হয়, প্রায় তিনি বিএনপির পরামর্শদাতা বা উপদেষ্টা রূপে আর্বিভূত হচ্ছেন !
আগে বিএনপির সরকার পরিচালনা নিয়ে সমালোচনা করলেও গত ১২ বছর দলটি ক্ষমতার বাহিরে থাকায় আর সংসদে গৃহপালিত বিরোধীদল থাকায় এখন সমালোচনার সেই জায়গাটাও নষ্ট হলো।
এবার সমালোচনার অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছে বিএনপির দুর্বলতা !
আসলে কি তাই ?
বিএনপি যদি এতোই দুর্বল হয়ে থাকে তাদের নেত্রীকে ২ কোটি টাকার উছিলায় বন্দী কেন রাখা হলো? অপর নেতাকে কেন দেশান্তরী করা হলো? নির্বাচনের আগে তাদের ৬৪ হাজার নেতাকর্মীকে গায়েবী ও ভুয়া মামলায় কেন বন্দী করা হলো? কেন তাদের নন্যূতম প্রস্ততি নিতে দেয়া হয়নি ? শেষ দিন পর্যন্ত গ্রেফতার অব্যাহত ছিলো। এবং ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং করে ক্ষমতায় বসতে হলো?
তাছাড়া বিএনপি যদি দুর্বলই হয়ে থাকে প্রতিদিন বিএনপিকে নিয়েই বা কেন সমালোচনা করতে হবে দেশে তো আরো ৮০ টি রাজনৈতিক দল আছে, আছে গৃহপালিত বিরোধী দল তাদের সমালোচনা করে না কেন? তার মানি বিএনপিই সেরা সেটি প্রমাণ করার জন্যই কাদের গং রা প্রতিনিয়ত বিএনপির নামে কিছু না বললে তাদের ভাত হজম হয় না।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীতে যখন ভুয়া নির্বাচন করেছিলো বাকশালী স্বৈরাচারী দল তখন বিএনপি টানা ১ বছর অবরোধ দিয়েছিলো,
তৎকালীন কাদের গংদের দাবি ছিলো বিএনপি জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাস করেছে, এখন বিএনপি উন্নত বিশ্বের মতো শান্তিপূর্ণ পথে হাঁটছে এখন বলছে সাহস নেই, শক্তি নেই, সাহস দেখাতে হলে লগি কি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করতে হবে?
নাকি পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিয়ে কিনে দলীয় করণ করে, ভুয়া নির্বাচন করে রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি করতে হবে ?
বিএনপি ছাড়াও আওয়ামীদের ১৪ দলের শরীকরাও বলেছে ভোট ডাকাতি হয়েছে, আর ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, বাসদ, সহ আরো ৩৩ টি দল বলছে নির্বাচন ভুয়া হয়েছে ।
এতোদিন পর জনাব রিজভী সাহেব ভালো একটি পরামর্শ দিয়েছেন
কাদির সাব যে ভাবে বিএনপিকে উপদেষ্টার মতো পরামর্শ ও বৃদ্ধি দিয়ে যাচ্ছে ফ্রিতে তাতে তার স্বৈরাচারী দল ত্যাগ করে তার উচিত বিএনপিতে যোগ দেয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৪