২০শে জুলাই বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষেরা এই দিনটিকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিন হিসেবে পালন করে থাকে । লেনিন সহ বিশ্বের তদানিন্তন তাবড় কম্যুনিষ্টরা রুশ বিপ্লবের বহু পুর্বেই পুঁজিবাদের সর্ব্বচ্চ রূপ হিসাবে সাম্রাজ্যবাদ কে চিহ্নিত করেছিলেন । সামন্ত জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যে পুঁজিতন্ত্রের জন্ম হয়েছিল , তার চরিত্রের মোড়কে উদার গনতান্ত্রিক রূপ প্রকাশ ছিল । পুঁজির সাম্রাজ্যবাদী পরিকাঠামোর পরিনতি তে অর্থাত পন্যের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য তাকে বারবার সংকটে পড়তে হয়েছে , আর সেই সংকট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে শ্রমজীবি জনগনের উপর নির্যাতন নেমেছে । এভাবেই পুঁজির একচেটিয়া বিশ্ববিজয় সম্ভব হয়েছে । আধুনিক প্রযুক্তি কে কাজে লাগিয়ে বিশ্বায়িত সাম্রাজ্যবাদ পৃথিবীর জল স্থল ভুমি অন্তরীক্ষ মানুষের শ্রম নিজেদের করায়ত্ত করেছে । তাই বিশ্বের সমস্ত কিছু আজ পন্যবাদী সংস্কৃতিতে পরিণত । সারা পৃথিবী জুড়ে উতপাদন সম্পর্কে জড়িত জনগন ধুমায়িত ক্ষোভ নিয়ে সারা বিশ্বে প্রতিবাদের আন্দোলন গড়ে তুলেছে । অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী শিবিরও সেই আন্দোলনগুলোকে বিপথচালিত করার জন্য জাতি বর্ণ ধর্ম রাজতন্ত্র ও সমরতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনের মদত দিয়ে জনগনের আন্দোলনের অভিমুখকে বিপথচালিত করেছে বারেবারে । বিপ্লবী কম্যুনিষ্টদের কাজ নিপীড়িত জনগনের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ক্ষোভ কে সংহত করে বিশ্ব ব্যাপী আন্দোলনের ঐক্য গড়ে তোলা ।
একশ বছর আগে সমাজতন্ত্র , জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব বর্তমান যুগে আর আদৌ পথ দেখাবে কিনা ভেবে দেখা দরকার । কারন পুঁজির যেহেতু বিশ্বায়ন ঘটে গেছে এ যুগে, তাই বিশ্ব শ্রমজীবি ঐক্যের সঙ্ঘবদ্ধতা এ যুগের শ্রমজীবি মানুষের কাজ (Investment capital) এর চেয়ে ফাটকা( Finance capital) গুরুত্বপুর্ন ভুমিকায় অবতীর্ন ।
তাই কোনো জাতি রাষ্ট্রে বিপ্লব ঘটে গেলে সাম্রাজ্যবাদী শিবির ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই দেশে বিরাট অর্থনীতির ধ্বস নামিয়ে দিতে পারে , গ্রীস তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ বলা যায়।
শ্রমজীবি জনগন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেই , সেটাই স্বাভাবিক কারন সেটা সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনেরই অঙ্গ ।
তাই বিশ্বের শ্রমজীবি মানুষের ঐক্য গুলিকে সঙ্ঘবদ্ধ করে সাম্রাজ্যবাদী প্রতিযোগিতার নীতির বিরূদ্ধে সহযোগিতামুলক বিশ্বব্যাবস্থার তত্বকেই খাড়া করে তুলতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩