১৫ নভেম্বর ২০০৯ থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ইন্ডিয়ান এম্বেসী চালু করেছে ই-টোকেন সিস্টেম সেটা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। কিন্তু কিছু ব্যাপার আমি ভুল করে ধরা খেয়ে এবং ঠেকে শিখেছি, সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যেন আর কাউকে ধরা খেয়ে শিখতে না হয়।
ই-টোকেন নিতে হলে লিঙ্কঃ http://www.ivacbd-etoken.com/
এবার কিছু ব্যাপার লক্ষ্য করুনঃ
১। বর্তমান সিস্টেমে ই-টোকেন ফর্ম পূরনে কোন ভুল হলে ঠিক করার কোন উপায় নাই, তাই খুব সাবধান। আর কোন তথ্যে গড়মিল থাকলে ভিসা আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
২। ফর্ম পূরনের সময় অবশ্যি খেয়াল করুন জমা দেয়ার জন্য কোন সেন্টার সিলেক্ট করেছেন। এই খানে সমস্যা হলো by default রাজশাহী সিলেক্ট করা থাকে ফলে অনেকেরই ভুল হয়ে যায়। আপনি ভুলে রাজশাহী সিলেক্ট করে ফেললে ঢাকা সেন্টারে জমা দিতে পারবেন না। আর একটা পাসপোর্ট দিয়ে একবার ই-টোকেন নিয়ে নিলে তা আর বাতিল করা যায় না!!! আর আপনার পাসপোর্ট নম্বর লক হয়ে যাবে তাই চাইলেও আরেকটা ই-টোকেন নিতে পারবেন না..
৩। আপনি আরেকটা ই-টোকেন নিতে চাইলে আপনার বর্তমান ই-টোকেনের জমা দেয়ার ডেট পার হয়ে যাওয়ার পর নিতে হবে। আরেকটা ব্যাপার ধরুন আপনি ভুলে রাজশাহী সেন্টারের জন্য ইস্যু করে ফেলেছেন কিন্তু আপনার ভিসা আবেদন রাজশাহীতেও জমা নিবে না কারন সেখানে শুধুমাত্র রাজশাহী থেকে ইস্যু করা পাসপোর্ট জমা নেয়.........
৪। দিনের বেলা ই-টোকেন দেয়া শুরু হয় দুপুর একটা থেকে। কোন নির্দিষ্ট দিনে ই-টোকেন নিতে চাইলে ঠিক একটার সময়েই আবেদন করুন কারন এক দিনে নির্দিষ্ট পরিমান ই-টোকেন ইস্যু করা হয় এবং দুপুর দুইটার দিকেই ওই দিনের ই-টোকেন শেষ হয়ে যায়।
৫। ই-টোকেন ইচ্ছেমত রি-প্রিন্ট নেয়া যায়। ই-টোকেন ফর্মের পেজের নিচে রি-প্রিন্ট অপশন আছে। সেখানে আপনার পাসপোর্ট নং এবং জমা দেয়ার ডেট দিলে আবার আপনার ই-টোকেন শো করবে, আবার রি-প্রিন্ট নিয়ে নিন।
৬। তারপরও যদি ভুল হয়েই যায় তাহলে শেষ চেষ্টা হিসেবে এই এড্রেসে সব ভুলের বিবরন দিয়ে ফোন নং সহ ই-মেইল করে ই-টোকেন বাতিল করার অনুরোধ জানান, যদি তারা ই-টোকেন বাতিল করে তবেই নতুন করে ই-টোকেন নিতে পারবেন। মেইল ব্যাক করতে ৭ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে কিন্তু এটার কোন নিশ্চয়তা নেই (নিশ্চয়তা নেই এটা তাদের ওয়েব সাইটেই বলা আছে) [email protected]।
আশা করি পোষ্টটি সবার কাজে আসবে..............

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




