somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানিব্যাগ !!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রিকশাওয়ালাকে বার কয়েক ডাকার পর আর ডাকতে ইচ্ছে করছিলো না। দূর থেকে আমার এমন ম্রিয়মাণ গলার ডাক বোধকরি রিকশাওয়ালা শুনতে পাইনি, পাবার কথাও না। পুরান ঢাকার ওলিগলি বলে কথা। রাস্তার এপার থেকে দ্বিতীয়বার ডাকার চেয়ে বরং আমি নিজেই ওপারে চলে আসলাম। আমার তাড়া ছিলো। জনসন রোড থেকে বাংলাবাজার যেতে হলে আমাকে রাস্তার ওপাশে যেতেই হতো।
এক রিকশাওয়ালা কে বললাম যাবেন?

-কন কই যাবেন?

--ইসলাম মার্কেট।

-মতিঝিল?

--আরেহ না, বাংলাবাজার ইসলামিয়া মার্কেট।

-২০ টাকা দেওন লাগবো।

-- আচ্ছা নিয়েন।

ভিড় ভাট্টার মধ্যে রিকশা যাচ্ছে। বাসা থেকে যাবার সময় বুথ থেকে টাকা উঠাতে পেরেছিলাম না। বাংলাবাজার গেলে বুথ একটা পাবো এই ভেবে আর অপেক্ষা না করেই রওনা হয়েছি। এখন সন্ধ্যা লাগেনি। আসর ওয়াক্ত গড়িয়েছে। আমি রিকশায়। জনসন রোড ধরে যাচ্ছি। সামান্য একটু যেতেই বুথ পেলাম, রিকশাওয়ালাকে ২ মিনিটের কথা বলে দাড় করালাম। এখনই টাকাটা উঠিয়ে আনা দরকার। সামনে কোথায় বুথ পাবো জানিনা।

**

টাকাটা উঠিয়েই সবে বের হয়েছি। আমি যে রিকশাতে চেপে এসেছি সেই রিকশাচালক দেখি রাস্তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পরে বুঝলাম কিছু একটাকে লক্ষ করে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে তার তাকানো নেই, তাকানোর প্রয়োজন বোধ করছে না সে।

আমি দূর থেকে বুঝতে পারছি যে রাস্তায় কিছু একটা পড়ে আছে, সেটার দিকেই তার লক্ষ্য। তীব্র গতিতে তিনি ছুটে যাচ্ছে। কাকতালীয় কিনা জানিনা, আমার চোখও দেখি রিকশাচালক আর সেই কাঙ্খিত বস্তু ছাড়া কোন দিকেই যাচ্ছেনা, আমিও কিছুটা আগ্রহ বোধ করছি। যেইনা রিকশাওয়ালা লক্ষ্যবস্তু'র উপর হাত দেবে ঠিক তখনি আরেকটা হাত এসে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যেন চিল ছু মেরে এসে নিচ থেকে মুরগীর বাচ্চা নিয়ে গেলে মুরগী যেমন তেড়েফুঁড়ে চিলকে ধরতে যায় ঠিক তেমনি রিকশাওয়ালার চাহনি। রিকশাওয়ালা ঐ লোকটির হাতটি ধরে ফেলেছে। দুজনের মধ্যে ব্যাপারটা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে গেছে।

রিকশাওয়ালা বলে তুই এটা নিলি ক্যান?

অল্প বয়সী ছেলেটি বলে আমি আগে পেয়েছি সুতরাং এটা আমার।

রিকশাওয়ালা বলে আগে আমি দেখেছি, আমিই নেবার জন্য আগে এসেছি সুতরাং এটা আমারই প্রাপ্য।

কেউ কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে রাজি না। যেন ছাড় দিলেই সে হেরে যাবে। রাস্তার ডিভাইডারের মঝখানে তারা শুরু করেছে তর্ক, মরণপণ তর্ক। যে যেমন পারছে নিজেরর মত করে যুক্তি দাড় করাচ্ছে। যেভাবেই হোক নিজের যুক্তি দিয়ে জিনিসটা নিজের কাছে নিতে চাচ্ছে। পালটা যুক্তিও আসছে অপরপক্ষ থেকে। যেভাবে তারা একে অপরের দিকে হাত উচিয়ে কথা বলছে মনে হচ্ছে খুন খারাবি হয়ে যাবে এক্ষুনি।

ব্যাটা তোদের এত খুন খারাবি শুরু করছোস, তা কি নিয়ে এত রাগারাগি এত ফাটাফাটি- আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিলো।
আমিও কাছে এগিয়ে গেলাম। দুজনেই দাতের সাথে দাত পিশে কটমট করসে, বাইরে থেকে তাদের রগের নাচন দেখে বোঝা যাচ্ছে।

ঐ খানকির পোলা জিনিস টা তো নজরে আগে আমি দেখেছি। আমি শুরু থেকেই দেখেছি। এটার হক তো আমার। তুই বাগড়া দিচ্ছিস ক্যা?

যাকে বিশ্রী ভাষায় গালী দেওয়া হচ্ছে সে রিকশাওয়াল তুলনায় বয়স অনেক কম। গালি শুনে সেও তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে। সেও বলে উঠলো ঐ নটির পোলা তুই আগে দেখছোস তো কি? আমিই তো আগে কুড়িয়ে পেয়েছি। এটা তো আমার ন্যায্য প্রাপ্য।

-না এটা আমার হক। আমি আগে দেখেছি। রিকশাওয়ালা জোর গলায় বলতে শুরু করেছে।

-হাত ছাড় কইতাছি। আমারে চ্যাতাইস না। আমি আমার জিনিস নিয়ে যাবো। তুই হাত ধরার কে?

--আমার হক দিয়া যা, তাহলে হাত ছেড়ে দিচ্ছি।

- হক তোর হোগার মধ্যে দেবো নটির পোলা। হাত ছাড়বি নাকি ছাড়াইতে হবে?

- আমার ভাগ আমারে দিয়া যা।

- তোর ভাগ মানে? চেচিয়ে উঠলো ছেলেটি।

- আমি আগে জিনিসটা দেখেছি তাই এটা আমার।

-কিন্ত আমিতো আগে কুড়িয়ে পেয়েছি।

- এত কথা শুনতে চাইনা তুই আমার ভাগ দে।

-আবার তোর ভাগ? বলতে বলতে রিকশাওয়ালার উপর চড়াও হয়ে গেলো। ধুপধাপ চড় থাপ্পড় চলতে থাকলো। আক্রমন পালটা আক্রমনে দুজন তখন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। রিকশাওয়ালা কিছুতেই ছেলেটিকে দাঁড়াতে দিচ্ছেনা, কিল থাপ্পর চুল ছিড়ে একাকার। আশেপাশের জনাদুয়েক রিকশাওয়ালা চলে এসেছে, দুজনকে আলাদা করার এক ব্যার্থ চেষ্টা। যতই তারা দুজনকে আলাদা করার চেষ্টা করে ততই তারা একে অপরের দিকে তেড়েফুঁড়ে আসে। একজন আবার আঙুল উচিয়ে বলে তুই আমার গায়ে হাত দিছিস, চিনোস আমারে? অপরজন আবার বলে উঠে তোরে আবার কি চিনোন লাগবে? আমারে চিনে নিস তুই।

অবশেষে যখন তাদের ক্ষান্ত করা গেলো। তখন দুজনেই বিধ্বস্ত চেহারা নিয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে। রিকশাওয়ালার চোখেমুখে পরাজয় এর ছাপ স্পষ্ট। কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসটা বেহাত হয়ে গেছে। দুজনই শার্টের দু’চারটা করে বোতাম খুইয়ে এসেছে। একজন গজরাতে গজরাতে শার্টের বোতাম খুঁজছে আশেপাশের ধুলোর মধ্যে, আরেকজন, মুখের মধ্যে শার্ট গুজে তার লুঙ্গির গিট ঠিক করতে করতে বোতাম খুজতেছে। এমন সময় জিজ্ঞেস করলাম রিকশাওয়ালাকে, তুমি ভাড়া ফেলায়ে এখানে মারামারি করছিলে ক্যানো?

-স্যার দেখেন মানিব্যাগ টা আমি পেয়েছি অথচ ও আমারে থেকে কাইরা নিয়ে গেছে।

পাশের জন বলে উঠলে না না ওর কথা বিশ্বাস করবেন না। এই মানিব্যাগ আমি আগে কুড়িয়ে পেয়েছি।

-রিকশাওয়ালা এবার বলে উঠলো আমি প্রথম থেকে দেখেছি স্যার, যখন মটরসাইকেল থেকে পড়লো ব্যাগটা আমি তহনই দেখছি।

মোটরসাইকেল পেলে কোথায়? জানতে চাইলাম আমি।

-একজন মটরসাইকেল নিয়ে এদিক দিয়ে যাচ্ছিলো, তার পকেট থেকে পরে গেছে ব্যাগটা। রাস্তার গাড়ির জন্য স্যার আমি আগে যেতে পারিনি। তার আগেই ও নিয়ে নিয়েছে।

ব্যাগ টা তো তোমাদের কাররই না। অথচ তোমরা এমন মারামারি ক্যানো করলে? নিজেরাই মারামারি করে ঠোট ফাটালে, শার্ট ছিড়লে, মাথার চুলোও তো দেখছি ছিড়ে ফেলেছো?

আমার এমন প্রশ্নে মানিব্যাগ এর দুই দাবিদার একে অপরের দিকে তাকালো।

রিকশাওয়ালার দিকে তাকিয়ে ছেলেটি বলে উঠলো, আমার নসিবে এই ব্যাগটা আছে দেখেই তো আমি আগে হাতে পেয়েছি। সুতরাং ব্যাগটা আমিই পাই।

আমি জিজ্ঞেস করলাম তুমি কি করো?

-যে মামা রিকশা চালাই।

তুমিও রিকশা চালাও?

আমার দিকে চেয়ে ফ্যালফ্যাল করে হাসে, আকর্নবিস্তৃত হাসি।

জিজ্ঞেস করলাম বাসা কোথায় তোমার?

-স্যার উলিপুর। কুড়িগ্রাম উলিপুর স্যার।

দেখো ব্যাগটা তে তোমাদের কারোরই হক নেই। যার ব্যাগ তারে ফেরত দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। দেখো ঐ ব্যাগওয়ালা যদি আসে তাহলে তারে ফেরত দিও।

ছেলেটি বলে উঠলো স্যার তারে পাবেন কই? উনি কি আসবে নিতে?

দেখি ব্যাগটা আমার কাছে দাও। বলে আমি ব্যাগটা হাতে নিলাম।

আমি ব্যাগের এদিক ওদিক খুঁজে কোথাও কিছু পেলাম না যাতে আসল মালিকের সাথে যোগাযোগ করা যায়। টাকা গুনে দেখি মোটের উপর ২২৮ টাকা। এছাড়া আর কিছুই নাই।

নাও টাকাটা তোমরা দুজন ভাগ করে নাও।

আমার কাছে এর চেয়ে আর ভালো সমাধান কিছু মনে হলো না। সামান্য ২২৮ টাকার জন্য এরা শার্টের বোতাম খুইয়ে এসেছে, ঠোট ফাটিয়েছে, মাথার চুল ছিড়ে ফেলেছে। না জানি এরপর কি হয়। তারা দুজনে যা শুরু করেছে তাতে যদি একজনের ভাগ হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে কেউই মানবেনা। তাই দুজন সমান ভাগ নিক, যাতে কারো আপত্তি না থাকে। নাহলে আবার ফাটাফাটি আরম্ভ হয়ে যাবে হয়তো।

বিপত্তি বাধলো একটু পরে।

যিনি ব্যাগটি কুড়িয়ে পেয়েছে সে কিছুতেই টাকার ভাগ রিকশাওয়ালাকে দেবেনা, কিছুতেই না। রিকশাওয়ালার কাছ থেকে মার সে একটু বেশিই খেয়েছে সুতরাং তার পক্ষ থেকে সমাধানে যাবার প্রশ্নই আসেনা। মানিব্যাগের নেট এসেট ভাগ করার প্রস্তাবে তার চোখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।

আমি আবার রিকশাওয়ালাকে বললাম আপনার কি কোন সমস্যা আছে যদি সমান ভাগ করি।

না না আমার সমস্যা নাই।

যেই ছেলেটি কুড়িয়ে পেয়েছে সে আমার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো স্যার আপনিই ব্যাগটা নিয়ে যান, তবু ওরে দিয়েন না।

ব্যাগটি কুড়িয়ে পাওয়া ছেলেটি অতিরিক্ত মার খাওয়ার ফলে কিছুতেই সে রিকশাওয়ালাকে ভাগ দেবেনা। তার ভাবখানা এমন হাতে না ভাতে মারবো। সমান ভাগ হয়ে গেলে তার আত্মসম্মানে টান লাগবে।

আমিতো ব্যাগ নিতে পারবোনা। সমান ভাগ করে যদি নিতে না পারো তাহলে তোমরা যা খুশি করো এই বলে ছেলেটির হাতে আমি ব্যাগটি দিয়েছি। ছেলেটি ব্যাগ টি পেয়ে তার রিকশায় উঠে চলে যাবার জন্য হাটা শুরু করেছে।

স্যার ও তো ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছে। আপনি না সমান ভাগের প্রস্তাব দিলেন। রিকশাওয়ালা বলে উঠলো।

আমি তাকিয়ে দেখি হ্যা ঘটনা সত্য। অপর ছেলেটি ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছে।

এদিক থেকে রিকশাওয়ালা দৌড়ে গিয়ে পেছন থেকে টেনে ধরলো ছেলেটির কলার। ছেলেটি হুড়মুড় করে পড়ে গেলো।
পড়ে থাকা অবস্থায় জেরা করার মত জিজ্ঞেস করে উঠলো রিকশাওয়ালা তুই টাকা না দিয়া যাস কই?

ছেলেটি এবার উঠে এলোপাথারি হাত চালাতে শুরু করলো। দুজনের বয়সের এত তারতম্য এদের হাত চালাচালি দেখলে অবশ্য তা বোঝার উপায় নাই। কিল থাপ্পড় চলছে সমানে, একজন তার শার্টের সব বোতাম হারিয়েছে। সেদিকে তার খেয়াল নাই। অন্যজনের পায়ের স্যান্ডেল ছিড়ে গেছে, সে আবার সেই ছেঁড়া স্যান্ডেল হাতে নিয়ে প্রয়োগ শুরু করেছে। টাকার ভাগের সাথে সাথে হয়তো স্যান্ডেলের মূল্য উশুল করে নেবে এখন।

আমার যেতে হবে। তাড়া আছে। রিকশাওয়ালা যে কুস্তি শুরু করেছে তাতে তার সাক্ষাত ইহজনমে পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হলোনা। যদিও এসেছি সামান্য তবুও ভাড়া তো দিতে হবে। আমি তাই ১০ টাকার একটা নোট বের করে বলে উঠলাম এই মামা তোমার ভাড়া রাখো।

ছেলেটি তখন রিকশাওয়ালার নিচে পড়ে গেছে। এই সময় ১০ টাকা নিতে গিয়ে হেরে যাবার কোন মানে হয়না। ১১৪ টাকাই তার লাগবে, ওটা হাতছাড়া হয়ে গেলে খুবই লজ্জার কিছু হবে তার জন্য। আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে বলে উঠলো মামা লাগবো না ভাড়া, আপনি যান।

আমি ফিরে আসছি। আমার তাড়া আছে।
ডিভাইডার থেকে হেটে রাস্তার দিকে এসেছি। কেউ একজন আমার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো কি হয়েছে ওখানে?

আমি বললাম, দুজনের বিবেকবোধ জাগ্রত হয়েছে।

লোকটি যেন কিছুই বুঝতে পারলো না, আমার দিকে আবার জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইলেন।

আমি আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করছি না।
বাংলাবাজারের দিকে হাটা শুরু করলাম। বেশ দূরে এগিয়ে পেছনে একবার তাকালাম- তারা তখনো আত্মসম্মান উদ্ধারে ব্যাস্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪১
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×