খবরে প্রকাশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক ভারত সফরে সে দেশের সরকার যথাযথ বাবস্থা নেইয়নি, আমাদের কথা হল নেব কেন। না নেয়ার পিছনে আমরা নিজেরাই তো দায়ী। আসুন তো দেখি আমরা কিভাবে দায়ী,
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভারত সফরে ‘নিরাপত্তা’ যথাযথ ছিল না বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ। ভিআইপি বা ভিভিআইপিকে ব্যক্তিদের বিশেষ গাড়িতে করে আগ্রায় তাজমহলে নিয়ে যাওয়ার নিয়ম থাকলেও আবদুল হামিদকে নিয়ে যাওয়া হয় সাধারণ ব্যাটারিচালিত একটি বাহনে (স্থানীয় ভাষায় ‘গল্ফ কার্ট’ বলা হয়)। এ ছাড়া ভারত সফরের আগ্রায় যে পাঁচতারকা হোটেলে রাষ্ট্রপতির থাকার ব্যবস্থা করা হয় সেটির লিফটও ছিল সমস্যাযুক্ত এবং রাজস্থানের আজমির শরিফের ভিড় সামলানোর জন্য ছিল না যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
লিঙ্ক ঃ
ভারত আমার তিতাস নদীর উপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে যায়, আমি ফেলি দীর্ঘশ্বাস। আমার ফেলানিকে কাঁটাতারের বেড়ার উপর ধর্ষণ করে ঝুলিয়ে রাখে , তাও আমি কিছু বলি না। আমার দেশের ভিতর দিয়ে মাল নিয়ে যায় দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত, আমি ট্রানজিট এর ফি চাই না। আমার সুন্দর বন ধ্বংস করে বানায় বিদু্যত কেন্দ্র, আমি চোখ বুজে থাকি। আমার দেশের মানুষ ইলিশ মাছ খেতে পায় না, আর ও পারে ইলিশের মচ্ছব বসে। আহ...... আর কত দেখতে হবে।
৭১ এর সাহাযে্যর কথা তুলবেন না, ভারত যুদ্ধ শেষে আমাদের সচিবালয় থেকে বেসিনের পানির কল পর্যন্ত নিয়ে গেছে। যশোর সেনা নিবাস থেকে যে পরিমাণ আর্মস নিয়ে গেছে, তা দিয়ে এক ডিভিশন সেনাবাহিনী সাজানো যায়। আর সল্টলেকে আশ্রয় নেয়া মানুষ গুলোকে বিদেশ থেকে আসা সাহায্যের তাকা মুফতে খেতে দেয়নি ভারত, ইট ভাঙ্গার মত শ্রম করিয়ে নিয়েছে।
ভারতের কয়েক দিন আগে ভারতের পশ্চিম বাংলার মুখ্য মন্ত্রী মমতা আসলেন তার দল বল সাথে নিয়ে। কি এলাহি আয়োজন। মাছের কত পদ, প্রসেঞ্জিত আর জিত এর সেই খাওউয়া নিয়ে কত আহা উহ কত সেলফি।। আর কয়দিন বাদে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশ ভারতের ম্যাচের আগে গিয়ে কি না বলে আমরা বিড়ালের জাত…
ভারতীয়দের যদি বিদেশে কীর্তিকলাপ দেখেন, তাহলে জানবেন, বিদেশিরা আমাদের সাথে চেহারা এর মিল থাকার কারণে আমাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখে। ভারতীয়রা যে এতো গবেষক হিসেবে নিজেদের বড়াই করে, আপনার কি জানেন, ওদের পাড়ার ভার্সিটি গুলো থেকে মোয়া মুড়কির মত পিএইচডি দেয়। আর আমরা কি করি নিজেরা তো চেষ্টা করি না উন্নতি করার, আবার অন্য কেউ করলে তাকে নিচে থেকে টেনে ধরি।
আর ভারতীয়দের চোখে আমরা হলাম ওদের একটা প্রদেশ। বেশির ভাগ ইন্ডিয়ান এই ধারনা করে বসে থাকে । এক একটা ভারতীয় যখন বিদেশে যায়, তখন চিন্তা করে কিভাবে নেটওয়ার্ক করে আরেক জনকে সিস্টেমে ঢোকানো যাবে। আর আমদের চিন্তা থাকে, আমি ঢুকছি, আর কাউকে ঢোকানো যাবে না, আর যদি কাউকে ঢোকাও, তাহলে ওর কাছে থেকে বাঁশ খাওয়ার জন্য রেডি হতে হবে।
তাই আমাদের রাষ্ট্রপতি যখন ওই দেশে গেছে, তাদের কাছে তো মনে হব্যে আরেক প্রদেশের মুখ্য মন্ত্রী এসেছে, এ আর এমন কি। আমারা নিজেরা যদি পরিবর্তন না হই, আমাদের কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না ।
আমাদের আইডল করতে হব্যে সিঙ্গাপুর কিংবা মালেয়শিয়াকে। ভারতে আমাদের কাছে স্রেফ প্রতিবেশী, এর বাইরে যেন আর কোন কিছুতে ওর যেন অধিকার না থাকে ।
সামনের দিনগুলোতে এ বিষয় গুলো নিয়ে আরও লিখবো আশা করি