somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ংকর ২১

১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(৩৮)

মেয়েটি ছোটকাল থেকেই যে অভ্যাস রপ্ত করেছে সেটাকে কোনভাবেই ভালো বলা যাবে না। সেটা হচ্ছে নিজের ডান হাতের আঙ্গুল (তর্জনী) মুখে ভরে রাখা। প্রথমে শুধু ক্ষুধা লাগলে এটা করতো্ পরে অভ্যাসে পরিনত হয়। ফলাফল হিসেবে অবধারিতভাবে এই ১৪ মাস বয়সেই তার উপরের পাটির সামনের দাঁত দুটো একটু উঁচু হয়ে গেছে :(

আঙ্গুল মুখে রাখার অভ্যাস করলে এমনটা যে হবে সেটা মেয়ের দাদী আগেই সতর্ক করেছিলেন। আমরাও চেষ্টা কম করি নাই ঠেকানোর জন্যে। কিন্তু মেয়ে কোন ভাবেই বুঝলো না :(

প্রথমে মুখে হাত দিয়ে সরিয়ে দিতাম। কিন্তু মেয়ের অসীম ধৈর্য্য। একবার সরালে একটু পরে আবার মুখে দেয়। এক সময় আমরাই টায়ার্ড হয়ে যেতাম।

এবার ঠিক করলাম হাতে নিমপাতার রস মেখে দিবো। বাসার পাশেই নিমগাছ। পাতা বেটে হাতে মাখিয়ে রাখতাম। একবার মুখে দিয়ে কিছুক্ষন কান্নাকাটি। কান্নাকাটি শেষ হলে আবার মুখে আঙ্গুল আর সাথে কান্নাকাটি। এভাবেই সাইকেল চলতো। পর পর কয়েকদিন কাজটা করলাম। এক সময় মেয়ে বুঝে গেলো তেতো আঙ্গুল কিছুক্ষন মুখে রাখলে তেতো ভাবটা চলে যায়। ফলাফল, নিমপাতা প্রজেক্ট ফেইল :((

একবার দুর্ঘটনা বশতঃ মেয়ের ডান হাতের তর্জনীটির মাথার দিকে একটু কেটে যায়। আমরা ভাবলাম এবার যদি অভ্যাসটা ভালো হয়। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টা। কাটা আঙ্গুল স্বত্ত্বেও মেয়ের অভ্যাসের পরিবর্তন হলো না। আর কাটার ক্ষত সারতে সময় নিলো স্বাভাবিকের থেকেও অনেক বেশী :(

আট মাস বয়সে মেয়ের চিকেনপক্স হলো। আঙ্গুলেও পক্সের গোঁটা উঠলো, কিন্তু তাই সহ মেয়ে নিজ অভ্যাস চালিয়ে গেলো। অবশ্য আমাদের সামনে পড়লে ঠেকিয়ে রাখতাম।

আশা করছি এক সময় এমনিতেই বদভ্যাসটি ঠিক হয়ে যাবে।

(৩৯)

বাসার কাছে কোথাও মৌমাছি বাসা বানিয়েছে। ৭/৮ দিন ধরে দেখছি বাসায় একটা দুইটা করে মৌমাছি ঢুকে পড়ছে। মৌমাছিগুলো আবার কেন যেন পুরোপুরি উড়তে পারে না। এখানে ওখানে নীচে পড়ে থাকে। সন্ধ্যায় প্রথমে ছোট মেয়ের পায়ের এক আঙ্গুলের তলায় মৌমাছি হুল বসালো। এরপর প্রথম পাঁচ মিনিট মেয়ের ননস্টপ ত্রাহি চিৎকার। ছোট ভাইয়ের কান্না দেখে বড় ভাইও কান্না জুড়ে দিলো (অবশ্য ঘন্টাদুয়েক পরে তাকেও হুল ফুটায় মৌমাছি)। ঔষধ হিসেবে দেওয়া হলো মধু আর চুন একত্রে মালিশ করে দেয়া।

কান্না আস্তে আস্তে কমলো। তবে মাঝে মাঝে কেঁদে উঠলে পায়ে মাঝে মাঝে ফু দিয়ে দিচ্ছি বাবুর মানসিক শান্তির জন্যে। সে এটায় বেশ মজা পেলো। একটু পর পর পা উঠিয়ে বলে "উঁ উঁ উঁ...." আর আমি কতক্ষন ফুঁ দিয়ে দেই। একটু পরে দেখলাম সে ঞুল ফুটানো ডান পায়ের বদলে বাম পা দেখিয়ে "উঁ উঁ উঁ...." করছে। সেখানে ফুঁ দিয়ে দিলাম। এর পরে ডান হাত, বাম হাত, মাথা, সারা শরীরেই ফুঁ দেওয়া লাগলো। কারন সবখানেই বাবুর...... "উঁ উঁ উঁ...."

//=//=//=//

মেয়েটি ছোটকাল থেকেই যে অভ্যাস রপ্ত করেছে সেটাকে কোনভাবেই ভালো বলা যাবে না। সেটা হচ্ছে নিজের ডান হাতের আঙ্গুল (তর্জনী) মুখে ভরে রাখা। প্রথমে শুধু ক্ষুধা লাগলে এটা করতো্ পরে অভ্যাসে পরিনত হয়। ফলাফল হিসেবে অবধারিতভাবে এই ১৪ মাস বয়সেই তার উপরের পাটির সামনের দাঁত দুটো একটু উঁচু হয়ে গেছে :(

আঙ্গুল মুখে রাখার অভ্যাস করলে এমনটা যে হবে সেটা মেয়ের দাদী আগেই সতর্ক করেছিলেন। আমরাও চেষ্টা কম করি নাই ঠেকানোর জন্যে। কিন্তু মেয়ে কোন ভাবেই বুঝলো না :(

প্রথমে মুখে হাত দিয়ে সরিয়ে দিতাম। কিন্তু মেয়ের অসীম ধৈর্য্য। একবার সরালে একটু পরে আবার মুখে দেয়। এক সময় আমরাই টায়ার্ড হয়ে যেতাম।

এবার ঠিক করলাম হাতে নিমপাতার রস মেখে দিবো। বাসার পাশেই নিমগাছ। পাতা বেটে হাতে মাখিয়ে রাখতাম। একবার মুখে দিয়ে কিছুক্ষন কান্নাকাটি। কান্নাকাটি শেষ হলে আবার মুখে আঙ্গুল আর সাথে কান্নাকাটি। এভাবেই সাইকেল চলতো। পর পর কয়েকদিন কাজটা করলাম। এক সময় মেয়ে বুঝে গেলো তেতো আঙ্গুল কিছুক্ষন মুখে রাখলে তেতো ভাবটা চলে যায়। ফলাফল, নিমপাতা প্রজেক্ট ফেইল :((

একবার দুর্ঘটনা বশতঃ মেয়ের ডান হাতের তর্জনীটির মাথার দিকে একটু কেটে যায়। আমরা ভাবলাম এবার যদি অভ্যাসটা ভালো হয়। কিন্তু ঘটনা ঘটলো উল্টা। কাটা আঙ্গুল স্বত্ত্বেও মেয়ের অভ্যাসের পরিবর্তন হলো না। আর কাটার ক্ষত সারতে সময় নিলো স্বাভাবিকের থেকেও অনেক বেশী :(

আট মাস বয়সে মেয়ের চিকেনপক্স হলো। আঙ্গুলেও পক্সের গোঁটা উঠলো, কিন্তু তাই সহ মেয়ে নিজ অভ্যাস চালিয়ে গেলো। অবশ্য আমাদের সামনে পড়লে ঠেকিয়ে রাখতাম।

আশা করছি এক সময় এমনিতেই বদভ্যাসটি ঠিক হয়ে যাবে।

(৪০)

বাসার কাছে কোথাও মৌমাছি বাসা বানিয়েছে। ৭/৮ দিন ধরে দেখছি বাসায় একটা দুইটা করে মৌমাছি ঢুকে পড়ছে। মৌমাছিগুলো আবার কেন যেন পুরোপুরি উড়তে পারে না। এখানে ওখানে নীচে পড়ে থাকে। সন্ধ্যায় প্রথমে ছোট মেয়ের পায়ের এক আঙ্গুলের তলায় মৌমাছি হুল বসালো। এরপর প্রথম পাঁচ মিনিট মেয়ের ননস্টপ ত্রাহি চিৎকার। ছোট ভাইয়ের কান্না দেখে বড় ভাইও কান্না জুড়ে দিলো (অবশ্য ঘন্টাদুয়েক পরে তাকেও হুল ফুটায় মৌমাছি)। ঔষধ হিসেবে দেওয়া হলো মধু আর চুন একত্রে মালিশ করে দেয়া।

কান্না আস্তে আস্তে কমলো। তবে মাঝে মাঝে কেঁদে উঠলে পায়ে মাঝে মাঝে ফু দিয়ে দিচ্ছি বাবুর মানসিক শান্তির জন্যে। সে এটায় বেশ মজা পেলো। একটু পর পর পা উঠিয়ে বলে "উঁ উঁ উঁ...." আর আমি কতক্ষন ফুঁ দিয়ে দেই। একটু পরে দেখলাম সে ঞুল ফুটানো ডান পায়ের বদলে বাম পা দেখিয়ে "উঁ উঁ উঁ...." করছে। সেখানে ফুঁ দিয়ে দিলাম। এর পরে ডান হাত, বাম হাত, মাথা, সারা শরীরেই ফুঁ দেওয়া লাগলো। কারন সবখানেই বাবুর...... "উঁ উঁ উঁ...."

//=//=//=//
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১২ রাত ২:০৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×