১১টা ১৩ বাজে। বাইরে ভীষণ কালো করে ঝড় হচ্ছে। অফিসের ডেস্ক থেকে কাজ রেখে বাইরে চোখ মেলে দিয়েছি। কি ভীষণ বাতাস!
আমার আবার এই বাতাস বেশ পছন্দের, সাথে আকাশের এই কালো মেঘ। বাতাসটা গায়ে লাগতেই হাসি ফোটে ঠোঁটে।
এসব দেখতে দেখতেই ঝুম বৃষ্টি নেমে এল। বৃষ্টির ছাট গায়ে লাগছিল বারান্দা থেকে ভেতরে এসে ডেস্কে বসলাম। হুট করেই মন খারাপ হয়ে গেল। এই ই হয় আমার এখন বৃষ্টি হলে। যতবার এখন বাইরে তাকাচ্ছি বৃষ্টি চোখে পড়ছে, মন হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়, শহীদ মিনারে, ক্যান্টিনে।
কি এক যন্ত্রণা হল এটি। ভাল মন টা কেমন দম ধরে গেল। যাহ, আজ আর কাজ ই হবেনা। চোখের সামনে কেবল ভাসছে,
কালো শার্ট পরা একটি ছেলের পাশে কালো জামা আর কালো- কমলা ওড়না পরা একটি মেয়ে, তারা হাঁটছে সবে হয়ে যাওয়া বৃষ্টি ভেজা পিচঢালা রাস্তায়। মেয়েটির ওড়না ভিজে তা থেকে হালকা কমলা রঙ উঠে কিছুটা তার বাম হাতে আর গলায় লেগেছে তা জানালো ছেলেটি।
ব্যাগ থেকে টিস্যু বের করে মুছে নেয়ার চেষ্টা করছিল মেয়ে।
এই দ্যাখো, এই ছবি শেষ না হতেই চোখের সামনে আবার ভাসছে, ঝুম বৃষ্টি তে হুড তোলা রিকশাতে দু'জন ভালবাসার মানুষ রিকশার কাগজ মেলে প্রাণ পণ চেষ্টা করছে বৃষ্টি থেকে বাঁচার। ছেলেটির প্রানপণ চেষ্টা, যাতে সঙ্গের সাথি না ভেজে পাছে ঠান্ডা লেগে অসুস্থ হয় সে।
কিন্তু মেয়েটির ইচ্ছে ভেজবার।
লিখতে লিখতে আর একবার বাইরে তাকালাম, না বৃষ্টি নেই এখন, থেমে গেছে। এখনও মেঘলা করে আছে। আকাশের আরো কিছু কান্না বাকি। গাছগুলো কে কি সুন্দর সতেজ লাগছে।
যাই, একটু ব্ল্যাক কফি খেয়ে কাজে মন দেয়ার চেষ্টা চালাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১০