বিসিবি টিম সিলেকশন বোর্ড বরবার এই অধমসহ বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি ক্রিকেট প্রেমীদের আকূল আবেদন, দয়া করে বিশ্বকাপটা ছাড় দিন। অযোগ্য ক্রিকেটারদের দলে ঢুকিয়ে আপনাদের মনের আশা বহুবার পূর্ণ হয়েছে এবার অন্তত একবার বিশ্বকাপটা ছাড় দিন। অন্তত একবারের জন্য হলেও বাংলার কোটি কোটি মানুষের মনের ইচ্ছাটা বোঝার চেষ্টা করুন।
যদি বিশ্বকাপে খারাপ খেলার কারণে বাংলাদেশের মান-ইজ্জত যায় তবে আপনাদেরও যাবে; থুক্কু আমার তো জানা ছিল না যে, আপনাদের মান ইজ্জত নেই। ওটা না গেলেও আপনাদের পকেট কিন্তু ভরবে না।
আফগানিস্তান এবং হংকংয়ের সাথে হারের বিষয়ে ব্লগে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় শতাধিক লেখা ছেপেছে। জানিনা আমাদের টিম সিলেক্টররা সেগুলো আদৌ পড়েন কি না।
তারা তাদের যোগ্যতা ধ্বজভঙ্গ টিম সিলেক্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন। টি২০ ক্রিকেট স্পেশালিস্টের মধ্যে সাব্বিরের নাম যুক্ত হলেও এর আগে থেকে আমরা জিয়াউরকেও চিনতাম কিন্তু তাকে মূল দলে ডাকাই হয়নি। অথচ এশিয়া কাপে দারুন একটা ইনিংস খেলেছ ও। এমন সময় জিয়াউরকে নামানো হয় যখন মার-মার কাট-কাট ছাড়া আর কিছু সম্ভব হয় না তখন স্বাভাবিক ভাবে কোন ব্যটসম্যানই মাথা ঠান্ডা করে খেলতে পারে না বা পারার জন্য বলাও হয় না। অথচ জিয়াউরের প্রতিভার মূল্যায়ন করা হয়নি। জিয়াউরের শর্ট বাংলাদেশী টিমের মধ্যে আমার মনে হয়েছে পাওয়ারের দিক থেকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শট। তার বোলিং লাইনটাও রুবেল বা আলামিনের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভালো মনে হয়েছে কিন্তু বিসিবি কেন যে টি২০ মত এমন ফরম্যাটে তাকে বসিয়ে রাখে তা বোঝা ভার। আরাফাত সানীও এ ফরম্যাটে যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে ঘরোয়া লিগেও কিন্তু তার নামও নাই।
একটি গেম খেলার জন্য আগামীকাল শাব্বির রহমানকে বাদ দিয়ে হয়ত সমালোচনার জবাব দিতে অন্য কাউকে নামানো হবে। কিন্তু আসল সমালোচনাটা সাব্বির কে নিয়ে নয় সে তার পার্ট মোটামুটিভাবে পালন করেছে ঐ ফরম্যাটে সে মানানসই ব্যাটসম্যান বলে মনে হয়েছে। কিন্তু আগামী ম্যাচে সে বাদ পড়লে অবাক হওয়ার কিছু নেই কেননা এটাই বিসিবি।
আমার মনে হয়েছে সিলেক্টর বোর্ড তাদের পরিচিতদেরকে দলে ঢোকাতে বেশ কৌশলের আশ্রয় নেয়, যেমন দেখুন তারা জানে যেদিন বাংলাদেশ ভাল খেলে সেদিন মুশফিক সাকিব পর্যন্ত ব্যাট পৌছায় তারপর ম্যাচ শেষ হয়ে যায় এই জন্য নাসির ফরহাদ, মাহমুদুল্লাহ এদের ব্যাট করার প্রয়োজনই হয় না। তাই ভাল খেলোয়াড় না খারাপ খেলোয়াড় তা বিবেচনা করা যায়না। কিন্তু যেদিন পৌঁছায় সেদিন টপ অর্ডার খারাপ খেলে এবং লোয়ার অর্ডারও খারাপ। খেলে আর টপ অর্ডার খারাপ খেললে লোয়ার অর্ডারদের শুধু দোষ দেয়া যায় না। তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন লোয়ার অর্ডারদের সমালোচনার ঝড়টা টপ অর্ডারের উপর দিয়েই চলে যায়।
আমরা বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে একটি দাবী জানাতেই জিয়াউর ও আরাফাত সানীকে দলে সুযোগ দেয়া হোক।
আর আপনার অন্তত একটি বারের জন্য হলেও বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটীয় দুঃখ নিবারন করুন। বাংলাদেশ হারুক তবে বীরের মত লড়াই করে হারুক।
জিয়াউরের মত হার্ডহিটিং ব্যাটসম্যাকে আনুন দেখবেন হারলেও লড়াই করে হারছে।