
অফিস শেষে বাসায় ফিরতে প্রায়ই দেখা হয়।
পুলিশ হাসপাতালের ঠিক বিপরীত রাস্তায় ওরা দাড়িয়ে থাকে।
আপদমস্তক বোরখার ফাকে যেই চোখ দুটো দেখা যায়, তাতে গাঢ় কাজল মেখে ওরা উৎসুক ভাবে তাকিয়ে থাকে পান্থজনের পানে।
ওই পথটুকু পার হই মাথা নিচু করে।
ওই উৎসুক চোখ এড়ানোর জন্য নয়।
কোন তুচ্ছতা, অবজ্ঞা, অবহেলা, ঘৃণা থেকেও নয়।
এই সমাজের অংশ হিসেবে সমাজের এই ব্যার্থতার দায় কিছুটা নিজেই মাথা পেতে নিয়ে নতশিরে পার হই রাস্তাটুকু।
কয়েক দিন আগের ঘটনা।
সেই উৎসুক চোখের নারীদের একজনকে আবার দেখা গেল, এক হাতে ধরে আছেন ছয়-সাত বছরের এক মেয়ে শিশুর হাত। আরেক হাতে সপাটে চড় মেরে চলেছেন শিশুটির কোমল গালে।
যিনি প্রহার করছেন তিনিই হয়তো শিশুটির জননী।
'কাজে' বের হয়েছেন, হয়তো মেয়েটিকে রেখে আসার মতন নির্ভরযোগ্য কোন গৃহ তার নেই।
সাথে এনেছেন, সাথে রাখার মতন উপায়ও তার নেই।
সেই সঙ্কট থেকেই হয়তো চড়াও হয়েছেন বাচ্চাটির উপর।
কিংবা হয়তো সন্তানের কোন বায়না পূরণে নিজের অক্ষমতা ঢাকার চেষ্টা করছেন এই আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে।
অথবা তিনি হয়তো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই সাথে এনেছেন শিশুটিকে!
তিনি হয়তো শিশুটির আপন কেউই নন…
ঘটনা যাই হোক, ক্রন্দনরত শিশুটিকে দেখে মনে হলো, পৃথিবীটা এতটা কঠিন না হলে কার এমন কী ক্ষতি হতো?
প্রয়োজনে পিতা-মাতা আরেকটু চোখ মুছুক, আরও একটু ঘাম মুছুক কপালের, তবু অমলিন হোক সন্তানের হাসি
পুনশ্চঃ ছবিটি অন্তর্জাল থেকে নামানো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


