আমি দূ:খিত হই; কিম্বা বলা যায় একপ্রকার যাতনা হৃদয় বৃত্তান্তে উষ্ণ হাওয়ার হলকা বইয়ে যায়। যেমন দাবানল দহন করে হরিদ্রাভ বনানীর পুরোভাগ। আমার এই একাঙ্কিকা- বলা যায় নিভৃতের গহীনে ব্যথাতুর কেদে যাওয়া, তার কোন তর্জমা নেই। তুমি কোন কারণের মাস্তুলে পতাকা বাধতে পারবে না। আদর্শ কিছু শব্দসম্ভাবনা মজুদ আছে পিতামহের জীর্ণ পুস্তিকার সারসংক্ষেপে।
এ সময়ে মানুষ পথে এবং প্রান্তরে খুজে নেয় সুখ। এসময় মানুষেরে ধাওয়া করে অফুরান অসুখ, যদিও; অস্বীকার করে তাবৎ বিভৎস পথচলার সন্তরণ, দু’টি বা তারও অধিক এন্টিবায়টিকে ঘুচে যায় সমকালীন সংলাপ। আবারও মানুষের সুখ কেনাবেচার প্রচলিত দরকষাকষি।
লজ্জা নেই যার তার আর কিছুই থাকে না যেমন; তেমনি কিছু নেই মানুষজনেরা সহসা রঙ্গশালার তদারকি করে, তাদের বিভ্রান্ত জুলফিতে বাধা ক্রিতদাসের তুকতাক; শিশ্নে আনুসঙ্গিক রতিরোধক- বইতে থাকে সময়, পিতামহের শ্লোকের অনুকুলে; লজ্জাহীন মানুষসকল পরস্পর চেটে চলেছে ডাকিনীর রজ:স্রাব!
তবুও অদৃশ্য দহনের শেষাঙ্কে বনানীর সীমানা যেন, ফুরিয়ে যাওয়ার আগে যেমন চকচকে শেষবার জ্বলে উঠা; ক্ষরণের বহু আগে বাহুমূলে অতৃপ্তির নখর- তেমনি সময়কাল শেষ হলেই ঝলসে উঠে লজ্জাহীন এক ফেরেশতার অগ্নিডানা; পিতামহের শ্লোকগুচ্ছ বাড়িয়ে বলে উঠে: প্রকৃত লজ্জাহীন সময় জগতে তোমাকে স্বাগত! ভবিতব্যের তলনীতে তখন পড়ে থাকবে শুধুই একাঙ্কিকার যবনিকাপাত, আর কোন দৃশ্য নেই!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩