আলো নেই বলে তুমি অন্ধকারে
শোকের কফিনে গা এলিয়ে শ্লোক আওড়িয়ে
কোন প্রভূর কিতাব তর্জমা করো!
বয়ে চলা রুধির স্রোতে তুমি কোন তপস্যায়
এক এক করে বলি দিচ্ছ মানুষ এবং মানুষকে-
সম্ভ্রম পরাস্ত করে দূরের মিনারে তোমার ঝান্ডা,
কোন আজ্ঞাবহ দ্রাবিড়ের পুরোধা তুমি-
যে মহাত্মা হনুমানের আগুনে একদা পরাজিত অসূরালয়-
তার প্রধানতম নিষ্পেষক তুমি হে কলঙ্ক মুকুটের সম্রাট, যখন
দ্রাঘিমা ফুটো করে চলেছে আদীমতম হিংস্রতার মুক্তাভিনয়-
তোমার মোহন্ত কোন সে করদাস সেবকের বিষ্ময়!
আলো নেই বলে আকাশে অযুত তারকা লুকিয়ে,
তবুও কখনও অমবস্যা সুস্থির থাকে না চিরকাল-
বর্ষা বেয়নটের মতো বৃষ্টি ঝরায় পাপের শহরে অদ্ভূত
তুমি কোথায় অত:পর লুকাবে লজ্জার দায়ভাগ;
একদিন একটা সময় একপাক্ষিক পূর্ণিমা তপবন ভেদ
করে, বেদের মন্ত্র ধরে বিলিন করবে তমশা; তোমার
কৌপিনে ঝলসে উঠবে মর্মর পিতবস্ত্র।
তোমার প্রায়শ্চিত্তের হাহাকারে সেদিন টুকরো টুকরো মেঘ
আসমানে এ্যাসিড বৃষ্টি হেনে সমতা আনবে এই আর্যভূমে-
আর জিঘাংসার প্রতিবিম্ব হয়ে তুমি একঠাই
প্রস্তর মূর্তি হয়ে জেগে রবে, নিরবে; ইতিহাসের পাতায়,
ঘৃণার অনুবাদে!
২৭.০২.২০২০
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪০