আমার কাছে একটা সুইচ নাইফ চেয়েছিল মেয়েটি। কল্পনাশক্তির বিপুল ঐশ্বর্যের তার হাসিতে আমি প্রেইরির স্বচ্ছতা দেখতাম, যদিও কখনও মুখোমুখি হইনি তার। বয়স আর দূরন্তপনার টুকরোটাকরা মিশিয়ে মধ্যরাতে কথা হতো আমাদের। কবিতা, চলচিত্র, মানুষ আর যৌবন নিয়ে লেখালেখির কাটাকুটি।
এক বইমেলার সন্ধ্যায় সে আমার কবিতার বই কিনতে এসেছিল, কিন্তু বিষাদের মতো মন খারাপ নিয়ে সে ফিরে গিয়েছিল শুধু কিছু সেবার অনুবাদ নিয়ে। আমি তার অকুলতাতে সম্মোহিত হয়েছিলাম। আমি অদ্ভূত কল্পনাকে কিছু শব্দ দিয়ে বপন করেছিলাম কবিতায়। মধ্যযুগের পেইন্টিং আর ভিনসেন্টের ষ্টারি নাইটের প্রতিকৃতির সাথে তার হৃদয় মিলিয়েছিলাম।
মেয়েটি প্রজ্ঞা ভালোবাসতো, মেয়েটি মিথ্যে ভালোবাসতো, মেয়েটি হয়তো শরীরও ভালোবাসতো! আলো আর সাবধানতা একপাশে সরিয়ে পূরুষ পাল্টাতো প্রায়শ। চকমকি পাথরের মতো একমাত্র মুগ্ধতা যা আমাকে এখনও আচ্ছাদিত করে রেখেছে। আমি অ্যামাজন থেকে সুইচ নাইফটি কিনে আমার ড্রয়ারে রেখে দিয়েছি। তার শেষ প্রেমিকের সাথে তোলা একটি ছবি জমিয়ে রেখেছি ডেস্কটপের হার্ডডিস্কে। অপেক্ষা আর আকাংখা নিয়ে আজও সার্চ দিয়ে চলেছি ছদ্মনামের ভাগাড়ে।
একটি আলোকরস্মি জোছনার চারপাশে পাক খেতে খেতে উঠে গেল দ্বিতীয় আসমানে। সমুদ্র তার সবটা বিষন্নতা নিয়ে ফসফরাস ছিটাচ্ছে ঢেউসমুহের মধ্যবর্তি ব্যবধানে, আর আমি সুইচ নাইফটি চেপে ধরে স্মৃতি রোমান্থনে খুঁজছি সেই না দেখা তরুনী হৃদয়।।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:২৯