আমি মানুষের কল্প জগতের পিছু ছুটিনি
পৃথিবীর সামনে দুদন্ড বসার সময় আমার আছে
কি মায়াময় পসার সাঁজায়ে বসে আছে মা।
আমি বাতাসে জীবনের সুর শুনতে পাই
হাজারো মানুষের আর্ত চিৎকারের আড়ালে
ঝর্ণার কলতান বাজে নিরবধি
তুমি আমায় একটুখানি জলে ভিজতে দাও।
কাদা মাটির বুক চিরে কি অদ্ভুত
জেগে উঠেছে ফসলের দানা, তৃণ, চির সবুজ বন
তুমি আমার মাটি কেড়ে নিও না
কেড়ে নিও না আমার মায়ের অহংকার।
এই মাটি তো ফসল ফলাবার
তৃণে তৃণে, গুল্মে গুল্মে, গাছে গাছে
ভরে তুলবার
ঘাস ফুলের মাঠে প্রজাপতির ডানায় সোনালী রোদের খেলা
হঠাত হঠাত হেসে উঠে মেঘ।
তুমি বারুদের ধোঁয়ায় এই হাসি ঢেকে দিও না।
তুমি শুনতে কি পাও
এই মানুষেরাই বাজায় বাঁশের বাঁশি
খোল করতাল বাউলের পায়ের ঘুঙ্গুর
নেচে বেড়ায় পাখ পাখালির গানের সুরে সুরে
চখা চখীর ভালোবাসা-বাসি, জ্যোৎস্না রাতে
মানব মানবীর নিবিড় আলিঙ্গন
তুমি ভেঙ্গে দিও না আবহমান কালের সেই সুর।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৯