আমি অনেক দিন থেকেই একটি প্রশ্নের জবাব খোজার চেষ্টা করছি।
প্রশ্নটি হোল ধরুন বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক দল রাজনৈতিক ক্ষমতায় এলো। এখন এই জনগণের পক্ষের দলটি কোন পন্থা অবলম্বন করলে বৃহত্তর জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে পারবে?
প্রথমত তাকে দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচারের পথ বন্ধ করতে হবে। এটা করতে হলে বনিক পুঁজিপতিদের স্বার্থ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং তার দল থেকে লুটেরা পুঁজিপতিদের উৎখাত করতে হবে। ফলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে একটি শক্তিশালী অংশ তার শত্রুতে পরিণত হবে।
দ্বিতীয়ত জনগণের বিভিন্ন খাত উন্নয়নের জন্য বাজেটে টাকা বরাদ্দ করতে হবে। এটা করতে হলে পুঁজিপতি ও মধ্যবিত্তের উপর ট্যাক্স বাড়াতে হবে। ফলে পুঁজিপতি ও মধ্যবিত্তরা বিরোধী পক্ষে চলে যাবে। যদি আইএম এফ থেকে ঋণ নিতে চায়, তাহলে সকল প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রাইভেটাইজেশন করতে হবে এবং জনগণের সেবা-খাতে টাকা খরচ করতে পারবে না। জনগণের উন্নয়নের জন্য সকল ভূর্তুকি তুলে নিতে হবে। এই টাকা নিলে জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে হবে এবং মার্কিন বৈদেশিক নীতিকে সমর্থন দিতে হবে। না নিলে মার্কিন সেঙ্কশনে পড়তে হবে। গার্মেন্টস সেক্টরে পড়বে নেতিবাচক প্রভাব। এমন কি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মার্কিন নৌ-ঘাটি করার চাপে পড়তে হবে। গদি রক্ষার চাপেও পড়তে হবে।
তৃতীয়ত বৃহৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের নিকট থেকে ঋণ নিতে গেলে ভারতের আধিপত্য-বাদের শিকার হতে হবে।
চতুর্থত চীনের কাছ থেকে সাহায্য নিতে গেলে ভারতের হুমকির মুখে পড়তে হবে। এখানে চীনের স্বার্থ হোল তার বাণিজ্যের রুট সম্প্রসারণ করা এবং পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মত চট্টগ্রাম নৌ বন্দরকে চীনের হাতে দিয়ে দেয়া। এতে ভারতের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হবে, যা ভারত কোনভাবেই মেনে নিবে না।
এই সমস্ত কিছু জটিলতায় বাংলাদেশের শিল্প খাতও বাড়তে পারবে না।
আর সমস্ত বৈদেশিক নীতি থেকে যদি হাত গুটিয়ে নেয়া হয় তাহলে তাকে কিউবার নীতি গ্রহণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জনগণ সেটা চাইবে না।
তাহলে পথের দিশা কি কেউ দিতে পারেন?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫