আমরা শুনেছিলাম প্রজন্মের পরিবর্তনে পাকিস্তানও আস্তে আস্তে বুঝতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে কিছু বিবেকবান মানুষ ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইতে শুরু করেছে। বিভিন্ন সময়ে তাদের বিবেকের কান্না আমরা শুনেছি।
সহজ সরল বাঙালি আবারও তাদেরকে ভাই অথবা বোন হিসেবে মেনে নিতে শুরু করেছি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের কান্না আমরাও কাঁদতে শুরু করলাম।
তাদের ক্রিকেটকে সব ভুলে গিয়ে আমরাও প্রশংসা করতে শুরু করলাম। তাদেরকে নিজ খরচে নিমন্ত্রণ করে করে এনে আমরাও ক্রিকেট খেলতে শুরু করলাম।
বোমার আঘাতে আর জঙ্গি হামলায় প্রতিদিন তাদের মা ও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
মেয়েরা বিদ্যালয়ে পড়তে পারে না। স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে না। প্রস্তর যুগ থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না।
এটি হয়তো তাদের পাপের ফল। বাঙালিকে তেইশ বছর শোষণের ফল। নয় মাসব্যাপী বাঙালি মাকে দুঃখ দেবার অভিশাপ। কিন্তু আমরা সেসব ভুলে গিয়ে, তাদের দুঃখে দুঃখ পেতে শুরু করলাম।
আমরা বললাম, ক্রিকেটের সাথে রাজনীতি মেশাইয়ো না। আমরা প্রতিষ্ঠিত করলাম, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়।
কিন্তু তারা আজ বলছে, বাংলাদেশে তারা কোন অপরাধ করে নি। তারা যোদ্ধাপরাধ করে নি। বাংলাদেশে যোদ্ধাপরাধের বিচার ভিত্তিহীন।
ফাক-ইস্তানকে এক দলা থুথু ফেলে বলি, 'সেই বেয়াহাপনা' আবার দেখিয়ে তোমরা তো আমাদেরকে বিস্মিত করে দিলে! চুয়াল্লিশ বছর পর, নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটু আলো-আঁধারি ভাব চলে এসেছিল। হঠাৎ আবার অসুর হয়ে গেলে কীভাবে! আয়নার সামনে একবার দাঁড়াও। নিজেকে দেখো! অস্বীকার করলেই নিজের বিভৎস অতীত থেকে রক্ষা পেতে পারো না।
চুয়াত্তরের চুক্তিতে পাকিস্তান সরকারও এক প্রকার দুঃখ প্রকাশই করেছে। আবারও এই ইউ-টার্ন দিয়ে তারা কী বুঝাতে চাইলো?
এরা প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার করে; ওরা পূর্বেস্বীকৃত তথ্যকে অস্বীকার করে; ওরা কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে। ওরা কারা? ওরা ফাক-ইস্তান।
স্বাধীন বাংলাদেশ তার নাগরিকদের অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তাতে কোন দেশ সীমা লঙ্ঘন করে মন্তব্য দেয় নি। কিন্তু একটি দেশ সেটি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তারা কারা? তারা ফাক-ইস্তান!
তারা বুঝাতে চাইলো যে, তারা আসলেই বেজন্মা। পৃথিবীর একমাত্র জীবিত অসভ্য জাতি। তারা আসলেই ফাক-ইস্তান!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯