দেশের ৩৫% অর্থাৎ ৪০ লাখের অধিক মানুষ বন্যা কবলিত। পঁচিশ জেলার ১৩৮ উপজেলার গতকালের হিসেব মতে মৃত্যুর সংখ্যা ৮৮।
"যমুনাপারের মানুষগর কান্দন ছাড়া উপায় নাই।"
"এমন বন্যা আমরা কখনও দেখি নাই।"
"বন্যাদুর্গতরা দিশেহারা"। এসব হলো এখনকার পত্রিকার শিরোনাম।
সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে বলে মন্ত্রীরা বলছেন, কিন্ত্র ত্রাণ কীভাবে দুর্যোগগ্রস্ত মানুষের হাতে পৌঁছুবে সেবিষয়ে কোন ঘোষণা বা পরিকল্পনা নেই।
"বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্ধকোটির বেশি: ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ।" খবর বিবিসির।
এবারের বন্যা স্মরণকালের নিকৃষ্টতম বন্যা, কারণ দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে। মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছুচ্ছে না, বলা হচ্ছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। যারা বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য সোচ্ছার হচ্ছে, তারা বিভিন্নভাবে কর্তৃপক্ষের নিপীড়ণের স্বীকার হচ্ছে। ত্রাণ যাচ্ছে কম, যা যাচ্ছে তা সঠিক মানুষের হাতে যাচ্ছে না। পরিস্থিতিকে শুধু অস্বীকার করা নয়, পরিস্থিতির তদারকিতে আছে অবহেলা।
চলুন বন্যার খবর দেই, কিছু মানুষকে সাহায্য করেছি - এমন সংবাদ দেই। চলুন বন্যাকে নিয়ে ব্লগিং করি!
ব্লগের একটি প্রচলিত রীতি হলো ত্রাণের জন্য সাহায্য চেয়ে পোস্ট দেওয়া। এবং সেটিকে স্টিকি করা। সেটি না হয় এবারও চলবে, কিন্তু মানুষের দরকার তাৎক্ষণিক সাহায্য। দরকার সব জায়গার সব ব্লগারদের অংশগ্রহণ। ইতোমধ্যে দেরি হয়ে গেছে।
সাহায্য চেয়ে আর সবাইকে বিব্রত করার দরকার কী? সাহায্য দেবার সংবাদ জানিয়ে সবাইকে অনুপ্রাণিত করার সময় এসেছে।
সাহায্য চেয়ে আর পোস্ট নয়, এখন দরকার ত্রাণ বিতরণের সংবাদ সম্বলিত পোস্ট।
অনেক ব্লগার অনেক আগে থেকেই বিভিন্নভাবে রিলিফ কাজে যুক্ত হয়ে আছেন। দয়া করে ছো্ট্ট একটি পোস্ট দিয়ে ব্লগারদেরকে জানিয়ে দিন। এটি খুবই দরকার এখন।
চলুন ছোট বড় মাঝারি যে রকমের সাহায্যই করি না কেন, সেটি ব্লগে প্রকাশ করি। সেটি দেখে অন্যরা উৎসাহিত হোক।
চলুন, নিজ নিজ এলাকার বন্যার সংবাদ পরিবেশন করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৮