সন্ধানী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের ১৫ বছর পূর্তি উপলেক্ষ্য স্মারক বের হচ্ছে জেনে আমি আনন্দে আপ্লুত। অশ্রুসিক্ত নয়নে মহান প্রভুর দরবারে শুকরিয়া। দরুদ পেশ করছি রাসূল (সঃ) এর প্রতি। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এ সংসদের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত যারা তাদের শ্রম, যোগ্যতা, দক্ষতা, অর্থ, সর্বপরি আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর যাত্রাপথ কে করেছেন গতি সম্পন্ন।
আমাদের সমাজের প্রবাহমান অবক্ষয়, যুব ও ছাত্র সমাজের আদর্শিক দেউলিয়াত্ব, নৈতীক পদস্খলন, পাশ্চাত্য আকাশ সাংস্কৃতির নগ্নতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে, সত্য ও সুন্দরের সমন্বয়ে ইসলামী সাংস্কৃতির পরিচ্ছন্ন আলোয় সুপরিকল্পীত প্রয়াসেই সন্ধানী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের পথচলা শুরু হয়ছিল।
এ সমাজের প্রতিটি স্তরে সুস্থ ধারায় শরিয়াহ অনুসৃত বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। অথচ অত্যন্ত আশ্চার্য্যের ব্যাপার এই যে, ইসলামী সংস্কৃতি, সুস্থধারায় যে মানুষ কে নির্মল আনান্দ দানের মাধ্যমে বিনোদনের এ প্রয়োজনীয়তা পরিপূর্ণ করতে পারে। তা হাতে কলমে আমাদের বৃহত্তম আলেম সমাজ উপস্হাপন করেত পারেনি। অনীহা ও কম ছিল না। যার ফলে অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসনের যাতাকলে আমাদের এ ঘুনে ধরা সমাজ। যা আজ আমাদের প্রজন্মের কাছে নগ্নতা, বেহায়াপনা, অবাঞ্ছীত যৌনতায় সংস্কৃতি।
এমন একটি বিপর্যয়ের সন্ধিক্ষণে সন্ধানী সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ পূর্ণ ইসলামী সীমারেখার মধ্যে, বাদ্যযন্ত্রহীন ইসলামী সংগীতের পবিত্র আহবান এবং পরিচ্ছন্ন জীবন গঠনের স্লোগান সমৃদ্ধ মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে যেমন যুব সমাজকে অপসাংস্কৃতির নগ্নতা থেকে রক্ষা করছে। অন্যদিকে ইসলামী সংস্কৃতির স্বরূপ উন্মচনে সচেষ্ট থেকেছে।
সন্ধানী আজ ১৫তম বছরে দাড়িয়েছে। এ সময়ে অনেক অনাকাঙ্ক্ষীত পরিস্থিতিতে মহান রবের প্রতি আস্থা রেখে মহাসত্যের এ মশাল নিয়ে আজকের অবস্থানে । দুস্তর পারাবার পার হয়ে আজ চাপাই নবাবগঞ্জের মাটি ও মানুষের কাছে ইসলামী সাংস্কৃতি বিকাশে একটি পরিচিত নাম। এ সংসদের প্রতিটি কর্মী দুস্থের দুর্দশা, মজলুমের রোনাজারী, নষ্ট্ ভ্রষ্ঠ আর হতাশাগ্রস্ত তরুণ সমাজকে পরিশিলীত একটি মোহনায় ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। শুধু প্রয়োজন আপনাদের দোয়া, সহযোগিতা ও পরিচালনায় সঠিক নির্দেশনা।
আমরা অত্যান্ত আনন্দিত যে, যখন দেশের নামী-দামী কণ্ঠ ও নৃত্য শিল্পীদের কনসার্টে ২/৩ হাজার উচ্ছৃঙ্খল দর্শক। ঠিক তখনি সন্ধানীর আয়োজনে ১৫/২০ হাজার আপামর জনসাধারণের মহাসম্মিলন আমাদের কে করেছে অনুপ্রানিত। বস্তাপচা, মানবরচিত মতবাদের ধ্বজাধারী অপসাংস্কৃতির ধ্বংসস্তূপে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের লক্ষে পেয়েছে হাজার জনতার সতস্ফূর্ত সমর্থন। এটা সন্ধানীর অনেক বড় অর্জন ।
মহান রব্বুল আলামিন তাদের এ প্রচেষ্টা কবুল করুন । আমিন ।
শুভেচ্ছানতে-
মুহাঃ মোশাররাফ হোসাইন
রোম,ইটালী .
রাবি শিবির সভাপতি সামশুল আলম গোলাপের প্রকাশ্যে চ্যালেন্জ: পারলে প্রমান করো আমরা খুনী।
সত্যবাদীরা সাহসী তা আবার প্রমান করলেন গোলাপ। প্রকাশ্য র্যাবের সাংবাদিক সম্মেলনে সবার উদ্দেশ্যে বলেন, "এই ঘটনার সাথে জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর ও সেক্রেটারি জেনারেলের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার কথা বিশ্বাস না হলে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করুন সকল সত্য বেরিয়ে আসবে'। " রাতে কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাউল ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তিনি আমাদের শান্ত থাকতে বলেন। মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক, কাঙ্ক্ষিত নয়।' তিনি আরো বলেন, বর্তমান আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমার কথা আপনাদের বিশ্বাস না হলে মোবাইল ট্র্যাক করুন, সকল সত্য বেরিয়ে আসবে' । এ কথা বলার সাথে সাথেই র্যাবের কর্মকর্তারা গোলাপকে কথা বলার জন্য নিষেধ করেন। হ্যা কথা তো বলতে নিষেধ করবেই কারন সত্যযে বেরিয়ে আসবে। অথচ এই র্যাব মৃতপ্রায় শিবির নেতা ইকরামকে জোর করে সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাবের শিখানো কথা বলতে বাধ্য করে, তখন কিন্তু মাইক বন্ধ বা কথা বলতে নিষেধ করা হয়না। জনগন বোকা না সব বুঝে। পরে ইকরামের পিতা এ ব্যাপারে হাইকোটে মামলাও করেন।
"সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যার পতন অবশ্যম্ভাবী।"
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




