আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেছেন, তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, সীমিত ক্ষমতার সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, তত্বাবধায়ক সরকার থাকছে না; এখন বেগম জিয়ার জন্য ৩টি পথ খোলা আছে: (১) অবসরে যাওয়া (২) এক দফাকে রিনিউ করা (৩) বিরোধী দলের নেত্রীর হওয়ার জন্য প্রতিযোগীতায় নামা।
সৌদী সরকারের মানি লন্ডারিং'এ পাকী প্রাইম নওয়াজ শরীফ ও লেবানীজ প্রিমিয়ারের সাথে বেগম জিয়ার নাম আসাতে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে যে, বেগম জিয়া হয়তো ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। বেগম জিয়া অবসরে গেলে, বিএনপি'র রাজনীতি করা শুরু করবে, এবং সময়ের সাথে রাজনৈতিক দলে পরিণত হবে; দেশের জন্যও ভালো হবে; বেগম জিয়া থাকার ফলে, সবাই উনার নামে জিততে চেষ্টা করে; ফলে, কেহ রাজনীতি করার কথা ভাবেনি কোনদিন, নিজ পাটে হাঁটার কথা ভাবেনি; উনি না থাকলে, নিজের চেষ্টায় জয়ী হতে হবে, কিংবা পরাজিত হবে, নিজকে রাজনীতিবিদ মনে করবে, এখন তারা নিজদের কলাগাছ হিসেবে জানে, হোক সে ড: মইন খান, কিংবা ফালু।
২০১৫ সালে বেগম জিয়ার দেয়া ১ দফা কখনো উইথড্র করা হয়নি, তিনি চাইলে সেটাকে আবার রিনিউ করতে পারেন; তিনি মুখ খুলেছেন কিনা, আমি জানি না; সেক্রেটারী মির্জা সাহেব বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে আরেক দফা সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে; অর্থাৎ দেশ এই মহুর্তে সংকটের মাঝে আছে। দেশ আসলে সংকটের মাঝে আছে ১৯৭৫ সাল থেকে: সেই সময় থেকে যখন আও্য়ামী লীগ ক্ষমতা হারায়েছে, তারা বলতো, দেশ সংকটে আছে; যখনি বিএনপি ক্ষমতা হারায়েছে, তারা বলেছে, দেশ সংকটে আছে। যেই দল ক্ষমতায় থাকে না, তারা সুষ্ঠ নির্বাচন চায়।
এখন দেখতে হবে, বেগম জিয়া কি ঈদের জন্য অপেক্ষা করবেন, নাকি গুলশান অফিসে ঈদ করবেন। শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছে যে, বেগম জিয়ার সাথে নির্বাচন নিয়ে কোন আলাপ হবে না; এর থেকে বেকুবী ঘোষণা কোন পিগমীও কোনকালে দেয়নি!
বিএনপি'কে ভোটে যেতে হবে; ভোটে বেগম জিয়া বিরোধী দলের নেত্রী হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা আছে; শেখ হাসিনার উপর ইউরোপীয় ই্উনিয়নের চাপ থাকবে বিএনপি'কে সুযোগ দেয়ার জন্য। শেখ হাসিনা মাথা খাটালে বিএনপি ৩য় পজিশনে চলে যে্তে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩