
শেখ হাসিনার উচিত হবে, এই আন্দোলনকে দেশ পরিচালনায় নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে নেয়া: কোনভাবে ছাত্রদেরকে এইজন্য দায়ী না করা, কোন অবস্হায় আন্দোলনের নেতৃত্বকে মামলায় না জড়ানো; ইহা বিএনপি-জামাতের ক্ষমতা দখলের আন্দোলন নয়, এটা মৌলিক নাগরিক অধিকারের আন্দোলন; এই যুগে, দেশে শিক্ষিত বেকার থাকা মানে সরকার পুরোপুরি অদক্ষ।
তিনি রেগেমেগে বললেও, উনার উচিত হবে উনার কথা রাখা; কারণ, তিনি যেখানে আছেন, সেখান থেকে বিবিধ উপায়ে সমাধান দেয়া সম্ভব। তিনি দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য আলাদাভাবে ব্যবস্হা নিতে পারবেন; তিনি অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা ব্যবস্হা নিতে পারবেন।
তিনি যদি নিজের কথা থেকে সরে যান, যদি কোর্টে রিট করতে বাধা না দেন, তিনি হাস্যস্পদে পরিণত হবেন। আসলে, ভিসি'র গৃহের আক্রমণের জন্য কঠিন হুশিয়ারী দেয়াই যথেষ্ট; আন্দোলনে এগুলো ঘটে; এবং ঢাকা ইউভার্সিটির ভিসি'রা কোনদিনও ছাত্রদের সন্মান পাবার মত কাজ করেননি।
এই প্রতিবাদ উনাকে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করবে; উনি অনেক কিছুই করছেন, যেগুলো সাধরণ মানুষের পক্ষে যাচ্ছে না, বরং কিছু শ্রেণী বে-আইনীভাবে দেশের সম্পদ ও সুযোগ নিজেদের দখলে নিচ্ছে।
৪৭ বছর আগে যে সাময়িক সমাধান হিসেবে "কোটা"র প্রচলন করা হয়েছিল, সেটা এতদিন চলে আসা মানে, আপেক্ষিকভাবে দেশের অর্থনীতি ৪৭ বছর আগের স্হানেই আছে; এটা প্রমাণ করছে যে, গত ৪৭ বছরে দরিদ্রদের কোন উন্নতি হয়নি, ৪৭ বছর সরকারগুলো সঠিক কাজ করেনি; এর মাঝে বিরাট সময় শেখ হাসিনা নিজেই দেশ পরিচালনা করেছেন।
সরকার যদি "চাকুরী সৃষ্টি" করে, কোটা মোটার কোন দরকার হবে না; আজকে জাতির কাছে যে পরিমাণ রিজার্ভ ও সম্পদ আছে, মানুষের কাছে যে পরিমাণ ক্যাশ আছে, যেভাবে রেমিটেন্স আসছে, মানুষের যতটুকু দক্ষতা আছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান যতটুকু সস্তা, ১ বছরের মাঝে সব মানুষের জন্য চাকুরী বের করা সম্ভন।
দেশে শিক্ষিত বেকার থাকা জাতির জন্য অভিশাপ!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




