মগের বাচ্চারা আগে ছিলো দলদস্যু, বাংলার উপকুল ও নদী-তীরবর্তী গ্রামগুলোতে লুতরাজ চালাতো, গরীবদের গরু-ছাগল, ছেলেমেয়েদের ধরে নিয়ে যেতো; এখন তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র, তারা নিজেদের লোককে আক্রমণ করছে, রোহিংগাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে; বাংলাদেশ এখন ১২/১৩ লাখ রোহিংকে বস্তির বাংগালীদের চেয়ে ভালো অবস্হায় লালন পালন করছে। একমাত্র আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়া ব্যতিত অন্য কেহ মগের মুল্লুকের বিপক্ষে আইনী ব্যবস্হা নেয়নি। আজকে শুনানী হচ্ছে হেগে, আরো ২ দিন হবে।
এই সপ্তাহে , আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম, আমাদের সেনা-প্রধান নাকি মগের মুল্লুক যাচ্ছেন ২ দেশের সেনাবাহিনীর মাঝে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে! এই জেনারেল কি জেনারেল জিয়ার সমাধানের কথা শোনেননি, উহা টিকেছিলো? এই যীশু-ষ্টাইল-ব্রাদারহুড তো আমার মথায় ঢুকছে না, আপনাদের কারো মাথায় ঢুকছে? মগের মুল্লুকের মিলিটারীর কাছে বাংলাদেশ মিলিটারীর শিখার কি আছে, ভ্রাতৃত্বের কি আছে? শিখার মাঝে হয়তো একটা বিষয় থাকতে পারে, পরে রোহিংগাদের বাংলাদেশ থেকে কি করে বের করতে হবে! নাকি শেখ হাসিনা পলিটিক্যাল সমাধানের ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছেন?
রোহিংগারা নিজেরাই মগের মুল্লুকের মানুষ, পেছনেপড়া এক নিষ্ঠুর ও সাংস্কৃতিকভাবে অপরাধ-প্রবণ জনগোষ্ঠী; এরা বিপদে পড়ে প্রান বাঁচাতে বাংলাদেশে এসেছে, কিন্তু ওদের চালচলনে কৃতজ্ঞতা নেই, বনাগগালীদের প্রতি সন্মান নেই। আমি ওদেরকে কয়েক যায়গায় কথা বলতে দেখেছি, এরা একবারও বাংগালীদের ধন্যবাদ দেয়নি।
হেগে, মগের মুল্লুকের প্রতিনিধি হিসেবে গেছেন, সুচি,না মুছি নামে কি একটা আছেন না, নোবেল পুরস্কার টুরস্কারও পেয়েছিলেন! মিলিটারীর বিপক্ষে কথা বলার কারণে, পচিম মনে করেছিলো যে, উহার বিবর্তন ঘটেছে; এখ দেখা যাচ্ছে, উনি মিলিটারীর পক্ষে, মগের বাচ্ছা বদলায় না। কিছু মানুষ জীবনেও পুরো মানুষ হয় না। আমাদের ব্লগেও বেশ কিছু পলিটিকো আছেন, উহারা মিলিটারী শাসনের প্রশংসা করে থাকেন; এগুলো আসলে ভাবনাশক্তিহীন পন্ডিত।
যেখানে গাম্বিয়া আমাদের ও রোহিংগাদের পক্ষে কথা বলছেন, আমাদের জেনারেলের এই অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ কিছুদিন পরে হলে কি চলতো না; কিংবা, ইহা কি বাতিল করা যায় না? অপেক্ষা করার দরকার আছে, পর্যবেক্ষণ করার দরকার আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪