করোনা ভাইরাস ইতালী ও দ: কোরিয়ায় ত্রাসের সৃষ্টি করেছে; ইতালীতে সর্বমোট সংক্রমণ এখনো ২০০ জনের কাছাকাছি, মৃতের সংখ্যা মাত্র ৩ জন; কিন্তু এতে পুরো ইউরোপ পেনিক অবস্হায় প্রবেশ করেছে, পুরো ইউরোপের ষ্টক-মার্কেট ভয়ংকরভাবে পড়ে গেছে, গড়ে শতকরা ৪ ভাগ, ইহা পুরো অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত।
এখন আমেরিকান সময় সকাল ৫:১৫ মিনিট; আমেরিকান ষ্টক-মার্কেটের ডাও-ফিউচার ৭৬০ পয়েন্ট নীচে; ইহা মার্কেটে ভীতির সৃষ্টি করবে আজকে। মার্কেট ফিউচার ১০০ থেকে ১৫০ পয়েন্ট নীচে যাওয়া স্বাভাবিক; কিন্তু ইহা ৩০০ পয়েন্ট নীচে গেলে, মার্কেট অস্হিতিশীল হয়ে উঠে।
ইতালীর উত্তরান্চলে ভীতির সন্চার হয়েছে; মিলান শহরের কিছু এলাকা সংবাদে দেখায়েছে: মানুষজন নেই রাস্তায়, ব্যবসা ইত্যাদি বন্ধ, গাড়ী ঘোড়া চলছে না। ইতালী ইউরোপের পর্যটন এলাকা, ও ইউরপের ফল ও সবজি সরবরাহকারী। ইতালীর সরকার এই ভয়ানক রিএ্যাকশনের জন্য প্রস্তুত ছিলো বলে মনে হয় না; মনে হচ্ছে, সরকার চীনা স্টাইলে মানুষের চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের কথা বলায়, মানুষের মাঝে ভীতির সন্চার হয়েছে: ফুটবলখেলা, স্কুল ও সিনেমা হলগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
কোরিয়ায় সংক্রমণের সংখ্যা ৯ শতের কছাকাছি; তবে, কোরিয়ার সমস্যা হচ্ছে, তারা চীনের মতো কোন এলাকাকে বন্ধ ঘোষণা করতে পারবে না; কোরিয়ার আরেকটি ব্যাপার হলো, শহরের অনেক মানুষ নিজেদের ইচ্ছা মতো দেশের অন্য এলাকায় সহজে চলে যেতে পারে, যা চীনে সম্ভব নয়।
আমেরিকার ৪২ রাজ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে; তবে, সবক্ষেত্রে সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, আজ অবধি ৩৬ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে; মানুষের মাঝে পেনিক অবস্হার সৃষ্টি হয়নি। নিউইয়র্ক, বষ্টন ও কালিফোর্নিয়ার চীনা এলাকায় চীনাদের ব্যতিত অন্যদের তেমন যাতায়াত নেই বললেই চলে; স্বাভাবিকভাবে এই ধরণের নিয়ন্ত্রণ গড়ে উঠেছে; আপাতত সবকিছু স্বাভাবিক আমেরিকায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪