একটা ভালো খবর হলো, আমেরিকান কৃষকেরা করোনায় মোটামুটি আক্রান্ত হয়নি; কারণ, তারা আমেরিকার গ্রামে থাকে; ফলে, কৃষিকাজ সঠিকভাবে শুরু হচ্ছে; তবে, যদি গরমের পর করোনা ফিরে আসে, কৃষি শ্রমিকের অভাব হতে পারে আগষ্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে। অক্টোবরের মাঝে টিকা বানানো সম্ভব হলে, কৃষি ও শিল্প এলাকায় সবার আগে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা আছে সরকার ও গভর্ণরদের।
এমন কি ইউরোপ যদি আগে টিকা বের করে, উহার ম্যানুফেকচারিং'এর ভার আমেরিকাকে নিতে হবে। চীন যদি সবার আগে টিকা আবিস্কার করে, চীনের কনভেনশানেল টিকা ইউরোপ ও আমেরিকা হয়তো ব্যবহার করবে না; অনেক নাগরিক সেগুলো নিতে চাইবে না।
আমেরিকা যদি পুনরায় সঠিকভাবে পুরোপুরি চালু না হয়, ইউরোপ ও চীনের ব্যবসা পুরোপুরি চালু হবে না; ইউরোপ ও আমেরিকা পুরোপুরি চালু না হলে, বিশ্ব অর্থনীতি চালু করা সম্ভব হবে না। আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষ যদি বিমানে না চড়ে ও মালমাল আমদানী রপ্তানী শুরু না করে, তেলের দাম বাড়বে না, এমন কি তেল ও গ্যাসের উৎপাদন আজকের চেয়ে অনেক কমাতে হবে; এর অর্থ আরব ও রাশিয়া চুপসে যাব।
এই সপ্তাহে আমেরিকার বেকারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৪০ মিলিয়নে (৪ কোটী); সামনে ভোট, ট্রাম্পের সরকার জোর করে অনেক চাকুরী ধরে রেখেছে এখনো, বর্তমান অবস্হার পরিবর্তন না'হলে ভোটের পর, সরকারী চাকুরী থেকে ২/১ মিলিয়ন চাকুরী হারাবে।
ভোটে ট্রাম্প জয়ী হলে, বিশ্বের জন্য ভয়ংকর সময় আসবে, ল্যাটিন আমেরিকা ও আফ্রিকা কোন সাহায্য পাবে না; ইতিমধ্যেই সে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পশুখাদ্য রপ্তানী সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যদি করোনা থেকে যায়, খাদ্য পঁচে গেলেও রপ্তানী করতে দেবে না। আর বাইডেন জয়ী হলে, কিছু সময়ের জন্য কর্পরেশন গুলো নতুন কর্মচারী নেয়া বন্ধ রাখবে। এদিকে এই বছরের নতুন গ্রেজুয়েটদের শতকরা ৯৫ জনের চাকুরী হবে না, সরকারকে এদের জন্য হয়তো বেকার ভাতা চালু করতে হবে কমপক্ষে ৬ মাসের জন্য, কিংবা মাথাপিছু ১২০০ ডলার করে এদেরকে দিয়ে যেতে হবে।
যারা এতদিন আমেরিকার পতন চেয়ে দোয়া খায়ের করেছেন, নিজেদের ভালোর জন্য এখন থেকে দোয়ার কথাগুলো বদলায়ে দেন, বলতে থাকেন, ইহুদী নাসারা যেন সবার আগে নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬