আপনি একজন ব্লগার; সুযোগ পেলে, আপনি থিংকট্যাংক হিসেবেও কাজ করতে পারবেন, হয়তো; থিংকট্যাংকরা সরকার, রাজনৈতক দল ইত্যাদিকে পলিসি তৈরি করতে, চ্যালেন্জিং সময়ে উপদেশ, আইডিয়া দিয়ে থাকেন। আমাদের ব্লগার ড: এম আলীকে ঐ রকম পদে রাখলে, বাংলাদেশ সরকার উপকৃত হতে পারতো, মনে হয়।
বেগম জিয়া উনার দলের কয়েকজনকে থিংকট্যাংকের মর্যদা দিয়েছিলেন; এঁদের মাঝে ড: এমাজুদ্দিন সাহেবও (১৯৩৩-২০২০) ছিলেন; উনি পলিটিক্যাল সায়েন্সের লোক, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভিসি ছিলেন(১৯৯২-১৯৯৬); বইপত্র লিখেছিলেন কিনা আমার জানা নেই; তবে, উনার লেখা অনেক আর্টিক্যাল পড়েছি। আপানারা আমাকে বুঝেন, আপনাদের অনেকেই আমার মন্তব্য তেমন পছন্দ করেন না; উনি যদি সামুতে লিখতেন, এবং আমি যদি মন্তব্য করতাম, তা'হলে, মন্তব্যে অবশ্যই ম্যাঁওপ্যাঁও, পিগমী ও লিলিপুট শব্দগুলো থাকতো।
২০০৮ সালের ভোটে পরাজিত হওয়ার পর, বেগম জিয়ার অবস্হা যে, কি হতে পারে, সেটা বেগম জিয়া অনুমান করতে পারেননি; বিএনপি'র কেহ অনুমান করতে পারছিলেন না। বিএনপি'র রাজনৈতিক কার্যকলাপে কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছিলো না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ড: এমাজুদ্দিন সাহেবের লেখা ও বক্তব্যের উপর খেয়াল রাখছিলাম। আপনারা যারা উনার ভক্ত, আপনারা আমার কথা শুনে হয়তো ক্ষেপে যাবেন, উনার লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছিল, কলেজের পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষক এইচএসসি'র ক্লাশে বক্তৃতা দিচ্ছেন; দেখা যাচ্ছিলো যে, উনিও বেগম জিয়া, কিংবা বিএনপি'র ভবিষ্যত বুঝতে পারছিলেন না।
উনি বেগম জিয়া ও বিএনপি'কে কি আইডিয়া দিতেন আমি জানি না, আপনাদেরও জানার কথা নয়; কিন্তু তিনি আমাকে হতবাক করেছেন, ১৫ই আগষ্টগুলোতে বেগম জিয়ার জন্মদিনে উপস্হিত থেকে, কেক খেয়ে। ১৫ই আগষ্টে বাংলাদেশের কে কি করছেন, কার জন্মদিন পালন করছেন, সেটা কখনো সমস্যা ছিলো না; কিন্তু বেগম জিয়ার জন্মদিন পালন ও কেক কাটা একটা বড় সমস্যা ছিলো। ইহা যে সমস্যা, সেটা কেহ না বুঝলে অসুবিধা নেই; কিন্তু ড: এমাজুদ্দিন সাহেব এটা না বুঝায় বেশ বড় সমস্যা হয়েছে। এমাজুদ্দিন সাহেবের উচিত ছিলো, বেগম জিয়াকে সেইদিন কেক কাটা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেয়ার; বেগম জিয়া না শুনলে, কমপক্ষে, ড: এমাজুদ্দিন সাহেবের উচিত ছিলো, ঐ অনুষ্ঠানে যোগদান না করা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬