চীনের উহানে করোনা শুরু হওয়ার পরপরই সামুতে করোনার উপর পোষ্ট আসার শুরু করেছে; করোনার ভাইরাস, ইহার সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা, ইহার এনাটমি, ফিজিওলোজী, জেনোম ইত্যাদি নিয়ে সামুর ব্লগারেরা অনেক আলাপ আলোচনা করেছেন। শুরুতে ইহাকে গজব, সৃষ্টিকর্তার পরীক্ষা মরীক্ষা বলে কয়েকজন ব্লগার নিজেদের জ্ঞান জাহির করার পর, এক সময় সেগুলো বাদ দিয়ে টিকা মিকা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। করোনা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান বাড়াতে, আজ অবধি ব্লগারেরা খুবই ভালো আছেন, সুস্হ আছেন।
করোনার পেথোজেন থেকে শুরু করে এন্টিবডি অবধি বুঝতেছেন ব্লগারেরা। শুরুতে ইহার সংক্রমণ সম্পর্কে সঠিক তথ্যের অভাবে, কিংবা পরিবারে ২ জন ডাক্তার থাকার কারণে ব্লগার ড: এম আলী ইহাতে ভুগেছেন। এই ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট অসুস্হতার ভয়ংকর কষ্টের কথা তিনি বলেছেন; এবং সময় করে ইহা নিয়ে লেখার কথাও তিনি বলেছেন।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের ডাটা ব্লগারেরা প্রতিদিন পাচ্ছেন, এখন বিশ্ব অপেক্ষা করছে টিকার জন্য; টিকা আসবে পশ্চিমের দেশ থেকে, কিংবা চীন থেকে। এই টিকার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে ধনীদেশগুলো, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা ও অনেক ধনী লোকজন। টিকা সম্পর্কে সামুতে সর্বশেষ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে নিয়মিত। করোনা টেষ্ট নিয়ে ব্লগারদের ধারণা বেশ পরিস্কার। অর্থনীতি, স্বাস্হ্য ও মানব সমাজের উপর করোনার ব্যাপক প্রভাব ব্লগারদের কাছে পরিস্কার; করোনা বিশ্বকে এক ভয়ংকর স্হবিরতা ও অনিশ্চয়তার মাঝে ঠেলে দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে, শিরা উপশিরা হয়ে বিভিন্ন অংগকে আক্রমণ করে; ইহার অনেক ধরণের আক্রমণের মাঝে সবচেয়ে খারাপ আক্রমণ হচ্ছে নিমোনিয়া ও ষ্ট্রোক; যারা সুস্হ হচ্ছেন, তাদের দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে কথা হচ্ছে।
জ্বীন সম্পর্কে ব্লগে অনেক ইন্টারেষ্টিং পোষ্ট আসে; এসব ব্লগারেরা লিখছেন যে, জ্বীনেরা ভাইরাসের মতো মানুষের শরীরে, শিরা উপশিরা হয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে, মাথায় চলে যায়; আমার মনে হয়, এই কারণেই যাদের উপর জ্বীনের আছর হয়, তারা বকাবকি করতে থাকে, বল প্রয়োগ করে, জ্ঞান হারায়। জ্বীন ভাইরেসের আকার ধারণ করতে পারে, আবার জ্বীন সাপ বা কুকুর হয়ে লোকালয়ে ঘুরে, আকাশে উড়ে, হাড্ডি খায়, ধর্ম পালন করে, মাদ্রাসায় পড়ে, তাদের পরিবার আছে, বিচিত্র সব ব্যাপার। ব্লগারদের করোনা জ্ঞানের সাথে ইহার কোন মিল আছে?
করোনা নিয়ে আমেরিকা, ই্উরোপ ও চীনের সায়েনটিষ্টরা কাজ করছেন; তাঁরা বলছেন, করোনাকে তারা থামাতে পারবেন, ইহা সময়ের ব্যাপার। এদিকে জ্বীনের অত্যাচার চলছে কয়েক হাজার বছর ধরে, কিন্তু সায়েনটিষ্টদের কোন মাথা ব্যথা নেই, যত মাথা ব্যথা মোল্লাদের ও ব্লগারদের। এটার একটা কারণ হতে পারে, জ্বীনেরা বেশীর ভাগই টার্গেট করে বাংগালী ও সামান্য পরিমাণ মুসলিমদের। মুসলিমদের প্রতি বিশ্বের অন্যদের কোন সহানিভুতি না থাকায় কেহ আজো ইহা নিয়ে চিন্তিত নয়, কোন টিকা তৈরিরও আলাপ আলোচনা হচ্ছে না। কয়েকজন ব্লগার যেভাবে জ্বীনদের ফিজিওলোজী, মিজিওলোজী নিয়ে লেগেছেন, তাঁরা উহার জেনোম বের করে ছাড়বেন, মনে হচ্ছে।