শেখকে হত্যা করার পর, মিলিটারীর বড় অংশ হত্যাকারীদের পক্ষে চলে গিয়েছিলো; কিন্তু তাজউদ্দিন সাহেব পালিয়ে গিয়ে হত্যাকারীদের বিপক্ষে যু্দ্ধ ঘোষণা করলে, মিলিটারীর একাংশ জিয়া গং'এর পাশে দাঁড়াতো না; বিশেষ করে ইপিআর থেকে আসা যোয়ানেরা এই হত্যাকান্ডকে চুপ করে মেনে নিতেন না, বেংগল রেজিমেন্টের সাধারণ সৈনিকেরাও জিয়া গংদের কমান্ডে মানুষের বিপক্ষে অস্ত্র ধরতেন না।
শেখ সাহবে হত্যার পর, মিলিটারীর পরবর্তী টার্গেট যে স্বয়ং তাজউদ্দিন সাহবে নিজেই, তিনি তা বুঝতে সক্ষম হননি; সর্বোপরি, মিলিটারী ক্যু এই নতুন দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে, উনার ও জনতার এত কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত দেশটির ভবিষ্যত কি হবে, সেটা তিনি বুঝেননি। ১৫ই আগষ্ট সকালে শেখ হত্যার খবর পাবার পর, কোন বুদ্ধিতে, কোন সাহসে উনি নিজ ঘরে অবস্হান করছিলেন, তা অনুমান করা অসম্ভব ব্যাপার।
শেখ হত্যার পর, মিলিটারী ও অন্য ষ্টেক-হোল্ডারদের কাছে যেই লোকটি তাদের মাষ্টার প্ল্যানের বিপক্ষে থাকার কথা, সেটা তাজউদ্দিন সাহেব; সেই ব্যাপারটা আওয়ামী লীগের অন্য লোকেরাও বুঝতে অক্ষম হয়। তারা কোন প্রকার পদক্ষেপ না নেয়াতে পুরো মিলিটারী হত্যাকারীদের সাথে যোগ দেয়ার সময় পায়।
তাজউদ্দিন সাহেব পালিয়ে গেলে, ষড়যন্ত্রকারীরা জেনারেল শফি উল্লাহকে সেনা-প্রধানের পদ থেকে সরাতে পারতো না, ক্ষতিকর যা করতে পারতো , হয়তো, জেনারেল শফি উল্লাহকে হত্যা করতো; জেনারেল শফি উল্লাকে হত্যা করলে, মিলিটারীর মাঝে বিভক্তি দেখা দিতো।
১৫ই আগষ্ট সকালে আজউদ্দিন সাহেব উনার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করেন, উনার উচিত ছিলো পালিয়ে যাওয়া; তারপর, হত্যাকারীদের বিপক্ষে যু্দ্ধ ঘোষণা করা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:০০