আমেরিকা স্বাধীন হওয়ার পর, এই ১ম বার, নির্বাচনের আগে কিছু ঘটনা ঘটছে, যা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মানুষের মনে অনিশ্চিতার সৃষ্টি করছে; তবে, আমেরিকান নির্বাচন কমিশন শক্ত, ফলাফল পেতে দেরী হলেও, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
নির্বাচনের ফলাফল পেতে দেরী হবে: করোনার কারণে, ডাকযোগে ভোট চলছে; এসব ব্যালট গণনা শুরু হবে ৩ই নভেম্বর রাতে রাজ্যের সব ভোট কেন্দ্র বন্ধ হলে; ইহাতে সময় লাগবে, এবং ট্রাম্প পরাজিত হলে, তার পক্ষ থেকে মামলা হবে; মামলা হলে, ব্যালট গণনার সময় তার পক্ষের আইনবিদরা উপস্হিত থাকবে। কোন কোন রাজ্যের ডাকযোগে ভোটের নিয়ম নিয়ে মামলা যাবে সুপ্রীম কোর্টে।
এই মহুর্তে আমেরিকান সুপ্রীম কোর্টে ৮ জন বিচারক আছেন, ৪ জন লিভারেল, ৪ জন রিপাবলিক দলের প্রতি কিছুটা অনুগত; ১ জন বিচারকের মৃত্যু হওয়ায় ১টা পদ খালী আছে; ট্রাম্প নিজের এক অনুসারীকে ওখানে নিযুক্ত করছে, এখন সেটার শুনানী চলছে; আগামী বৃহস্পতিবারে সিনেটের ভোটে উহার নিযুক্তি কনফার্ম হবে; সিনেটে ৫৩ জন রিপাবলিকান সিনেটর, ভোটে নতুন বিচারক নিযুক্তি পেয়ে যাবে। ভোটের মামলা সুপ্রীমকোর্টে গেলে, গণনা ইত্যাদি নিয়ে রায়গুলোতে গোলমাল হবে।
ডাকযোগে ভোট ছাড়াও, বেশীরভাগ রাজ্যে মানুষ এখন সশরীরে ভোট দিচ্ছে; অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, ভোটের ফাইনাল দিনের (নভেম্বর, ৩) আগে, শতকরা ৪৫ ভাগ, বা তার বেশী ভোট দেয়া হয়ে যাবে।
আজকে পরিস্হিতি যেভাবে আছে, ট্রাম্প পরাজিত হবে। করোনায় ট্রাম্পের অদক্ষতা ধরা পড়ার পর থেকে ট্রাম্প আমেরিকার নির্বাচন পেছনে নেয়ার চেষ্টা করেছিলো, সেটা কাজ না করায়, সে নির্বাচন ব্যবস্হার বিপক্ষে মিথ্যা প্রচারণা চালানোর শুরু করে; ইহা দুষ্ট সাদাদের মাঝে কাজ করেছে; আমেরিকায় অনেক সাদা এখনো ওবামা নিয়ে শকে আছে, কেন অসাদা ওবামা প্রেসিডেন্ট হয়েছিলো!
এই মহুর্তে, প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের কাজ নেই, এদের মাঝে ১০ মিলিয়নের মতো কাজ না করেও বেতন কিংবা আন-এমপ্লয়মেন্ট বেনেফিট পাচ্ছে; ইহা কতদিন চলবে, কেহ জানে না; কারণ, করোনা বাড়ছে ৩৬টি রাজ্যে।
ভোটের ফলাফল জানতে দেরী হলে, দেশে অরাজকতা দেখা দিবে; যাদের কাজ নেই, তাদের পক্ষে পরিবার চালানো বড় ধরণের সমস্যা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭