সামুর প্যানেলে, ডয়েছে ভেলের সংবাদে দেখলাম, বাংলাদেশের সব থানায়, থানাগুলোর সব বিটে, শনিবারে ২ ঘন্টা নারী নির্যাতন-বিরোধী "সন্মেলন" হয়েছে; পুলিশ ও স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ইহাতে বক্তব্য রেখেছেন, প্লাকার্ড, পেষ্টুন ঝুলায়েছেন; এবং বার্তা পাঠায়েছেন যে, নারী নির্যাতন করলে শেষ, কাপুত, ফিনিতো! আশাকরি, সন্মেলনে যারা উপস্হিত ছিলেন, তারা বার্তা পেয়েছেন, তারা এই কাজ করবেন না।
থানায় সন্মেলন হয়ে ভালো হলো; থানায় কোন কারণে দরিদ্র নারী আসামী আটক হলে, তাদের জিং জিং করে দেয়া নাকি খুবই কমন; কমপক্ষে, উহা কমে আসবে; প্লাকার্ড, পেষ্টুনগুলো থানা থেকে না সরালেই ভালো, ঐগুলো থানার হাজতের ভেতর ঝুলায়ে রাখা দরকার।
ব্রুকলীনে গ্রীক এলাকায়, এক গরীব পরিবারের একটা কিশোরী মেয়ে আশপাশের কিশোর ছেলেদের পটায়ে ছাদে নিয়ে ভালোবাসতো, ওরা তাকে আইসক্রিম, কেক, কসমেটিক কিনে দিতো, সিনেমায় নিয়ে যেতো। কিভাবে এক পুলিশ জেনেছিল ব্যাপারটা, একদিন ছাদে মেয়েটা উঠে, ১ ছেলেকে সিগন্যাল দিলে, পুলিশ বুঝতে পেরে, ছাদে উঠে মেয়েটাকে তার অবৈধ ভালোবাসার জন্য দা্যী করে ও থানায় নেবে বলে ভয় দেখায়; শেষে মেয়েটাকে জিং জিং করার শর্তে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব করে; সেটাই ঘটে। কিন্তু পরে ঐ কিশোর ছেলেগুলো পুলিশটাকে হত্যা করে।
থানা সন্মেলনের পর, এখন জেলের ভেতর এই সন্মেলন হলে ভালো হয়, জেলে নারী কয়েদীদের অনেকেই জেল থেকে বের হওয়ার সময় কোলে নাকি বাচচা নিয়ে বের হয়? বেশী অতি-রন্জিত হয়ে যাচ্ছে নাকি?
লন্চ, বাস, ট্রেন ষ্টেশনে ভাসা কিশোরীরা ও অনেক দরিদ্র নারী নির্যাতনের শিকার হয়; এ'ছাড়া আজকাল গার্মেন্টেস'এ চাকুরীর বিনিময়ে নাকি অনেক মেয়ের উপর নির্যাতন হয়। সিএনজি, মিএনজি'র একা নারী যাত্রীদের খবর কি? এগুলো সহজে কন্ট্রোল করা সম্ভব। আরো সোজা হলো মক্তব ও মাদ্রাসার মোল্লাদের নির্যাতন বন্ধ করা।
আইন হয়ে গেছে; ৫ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে; থানায় সন্মেলন হয়েছে, জেলে সন্মেলন হবে; নির্যাতন বন্ধ হয়ে যাবে, আশাকরি; ব্লগে এই ব্যাপারে পোষ্ট আর লিখতে হবে না, হয়তো!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:১৮