ভারত খাদ্য রপ্তানী করে, বাংলাদেশের মতো ভারতে সকাল-বিকেল খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ে না, আয়ের তুলনায় খাবারের দাম কম; খাবারে কেমিক্যাল, ফরমালিন মিশায় না; অনেক বছর এত বেশী খাদ্য উৎপাদন হয় যে, উহা রাখাই সমস্যা হয়; তারপরও, ভারতে মাথাপিছু হারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে বেশী মানুষ অভুক্ত থাকে; কারণ কি? কারণ কয়েকটি আছে, সবচেয়ে বড় কারণ, নিম্নবর্ণ ও অন্য ধর্মের মানুষদের প্রতি উচ্চ-বর্ণের মানুষদের দয়ামায়ার অভাব।
ভারতে সরকারী চাকুরীতে পদ খালি পড়ে থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে নীচুবর্ণের মানুষ ও অন্য ধর্মের লোকদের চাকরী দেয়া হয় না; বড় প্রাইভেট কর্পোরেশনগুলোতে নিম্নবর্ণের মানুষকে প্রায়ই চাকুরী দেয়া হয় না, প্রমোশান দেয় না, কথায় কথায় চাকুরী হারায়।
এখন বাংলাদেশেও ঘটছে, রাস্তায় একজন মানুষ পড়ে থাকলে, মানুষ পাশ দিয়ে হেঁটে চলে যায়, সাহায্য করতে চাহে না; ইহা ভারতে আরো ১০০ বছর আগেও ছিলো। বাংলাদেশে দরিদ্র কেহ রাস্তায় পড়ে থাকলে, কাপড় চোপড়ে বুঝা যায়, কিন্তু ভারতের কয়েক প্রদেশে মানুষকে চেহারা থেকেও বুঝা যায় সে কোন বর্ণের হতে পারে।
ভারতে আরেকটা বড় ধরণের সমস্যা হলো, নিম্নবর্ণের মানুষের মাঝে মদের প্রচলন; এটা আমাদের পাশের পশ্চিমবংগে ছিলো এক সময়; বাজারে গেছে আটা কিনতে, রাত ২টা'য় খালি হাতে মাতাল হয়ে ফিরছে, বউ-বাচ্চা না খেয়ে পথ চেয়ে বসেছিলো। নিম্নবর্ণের এই সমস্যা নিয়ে ভারত কোনদিন মাথা ঘামায়নি, ইহা থামানোর কোন চেষ্টা নেই।
ভারতে দারিদ্রতা নিরসনে বছরে ১০০ দিনের কাজ দেয়ার ব্যবস্হা আছে; এই কাজগুলোতে নিম্নবর্ণের লোকদের নিজ এলাকায় কাজ না দিয়ে ইচ্ছাপুর্ক দুরে ও কষ্টকর কাজ দেয়; এতে অনেকে নিরুৎসাহিত হয়ে কাজে যায় না; এখানে দুর্নীতিও হয় প্রচুর, ফ্যান্টম কর্মী দেখায়ে এসব ফাণ্ড থেকে টাকা চুরি হয়।
দেখলে মনে হবে যে, ভারতের দারিদ্রতা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপাল থেকেও অনেক বেশী; আসলে, ভারত অত দরিদ্র নয়; ভারতে ২০/২৫ কোটী মানুষ নির্মমতার শিকার মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১০