ট্রাম্পকে ১ বার ইমপিচ করা হয়েছিলো, কিন্তু পদ থেকে সরানো সম্ভব হয়নি; ইমপিচ করেছিলো কংগ্রেসের হাউস, হাউসে ডেমোক্রেটরা মেজোরিটি; পদ থেকে সরানোর দায়িত্ব ছিলো সিনেটের; সিনেটে রিপাবলিকান মেজোরিটি, উহারা ট্রাম্পকে সরায়নি। ইমপিচ করার কারণ ছিলো: ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিচারে বাধা দেয়া; ব্যাপারটা শুরু হয়েছিলো ২০১৬ সালে আমেরিকান নির্বাচনে 'রাশিয়ার হস্তক্ষেপ'কে কেন্দ্র করে; আসলে, রাশিয়া ভালোভাবেই হস্তক্ষেপ করেছিলো সেই নির্বাচনে; এবং উহা ট্রাম্পের পক্ষে গিয়েছিল বড় স্কেলে।
রাশিয়া বিবিধভাবে হস্তক্ষেপ করেছিলো; তবে যেটি এটমবোমার মতো কাজ করেছিলো, সেটা হলো, হিলারী ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইলে শতশত রাষ্ট্রীয় স্তরের ভুয়া ইমেইল পাঠানো। ইমেইল কেলেংকারীতে হিলারী মোটামুটি ভয়ংকর বেকুবীর পরিচয় দেয়, মিথ্যা কথা বলে। সে যদি সত্য কথা বলতো যে, তার ব্যক্তিগত ইমেইলে কিছু সরকারী ইমেইল এসেছিলো ভুলে ( কম্প্যুটারের লোকদের ভুলে ), তা'হলে তার কিছুই হতো না; কিন্তু যারা মিথ্যা কথা বলে, তারা অকারণেও মিথ্যা বলে, একদিন ধরা খেয়ে বসে থাকে।
এইবার, ইমপিচ করার কারণ হচ্ছে, ট্রাম্প উস্কানী দিয়ে তার বেকুব সাপোর্টারদের ওয়াশিংটন ডিসিতে এনেছে ও পার্লামেন্ট ভবন দখল করার জন্য উৎসাহিত করেছে, যাতে ৫ জন লোক প্রাণ হারায়েছে; এদের মাঝে একজন পুলিশও আছে।
এ'ছাড়া, ডেমোক্রেট ও কিছু রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মনে করছে যে, আগামী ১১ দিন ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে, সে আরো ভয়ংকর কোন অঘটন ঘটাতে পারে; তাই তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। সেটার জন্য আমেরিকান সংবিধানে একটা নিয়ম আছে, উহাকে ২৫তম এমেন্ডমেন্ট বলে: এই ধারাটি প্রয়োগ করতে পারে প্রেসিডেন্টের এডমিনিষ্ট্রেশন; এই ধারা প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করা যেতো; কিন্তু এডমিনিষ্ট্রেশনের পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট তা করছে না। ক্যাপিটেল ভবন যারা দখল করেছিলো, তারা কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্টকে খুঁজছিলো ফাঁসী দেয়ার জন্য; কারণ, দখলকারীরা মনে করেছিলো যে, ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স, ট্রাম্পের কথা অনুসারে কাজ করেনি, বাইডেনের ভোটে জাল ভোট আছে বলে বিশ্বাস করেনি।
ইমপিচ করতে বেশ সময় লাগার কথা, ১১ দিন খুবই অল্প সময়; যদি ১১ দিনে ইমপিচের কাজ শেষ না'ও হয়, তবুও হয়তো ইমপিচের দিকে যেতে পারে। এবার যদি ইমপিচ হয়ে ট্রাম্প পদচ্যুত হয়, সে আর আমেরিকার কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না; ডেমোক্রেটরা এটা চাইছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৮