দিনাজপুরের ফুলবাড়ির আয়েশা সিদ্দিকার এজুকেশানেল কোয়ালিফিকেশন, ফাজিল পাস; বাংলাদেশে, এই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে একজন নারী কি কি পেশায় চাকুরী পেতে পারেন? আসলে, পুরুষ হলে মোয়াজ্জিন, ইমাম, কিংবা মক্তবে পড়াতে পারতেন; গড় জীবনযাত্রার জন্য নগণ্য আয়; কিন্তু বাংলাদেশে নারীদের জন্য এসব পেশায় সামান্য বেতনের চাকুরীও নেই, নারী হলে ইসলাম তাঁদেরকে এসব করতে দেয় না; আমেরিকায় ২/৪ জন নারী ইমাম আছেন।
আয়েশা সিদ্দিকা নতুন করে পড়ালেখা করে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার হয়েছেন; এরপর, উনি নিজের ইসলামী শিক্ষাকে কাজে লাগায়ে কাজী হওয়ার চেষ্টা করেছেন, এখানে আবার ইসলাম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে; বলা হচ্ছে, বিয়ে একটি পবিত্র কাজ, নারী বিয়ে পড়াতে পারবেন না, কারণ হচ্ছে, নারী নাকি কিছু সময় "অপবিত্র" থাকেন! একজন নারী কি কারণে অপবিত্র থাকবেন?
একজন মানুষ অপরিস্কার থাকতে পারেন, কিন্তু "অপবিত্র" থাকতে পারেন না; মনে হয়, নারীদের মাসিকের সময়টাকে বেদুইনরা মনে করতো "অপবিত্র" সময়; কারণ, বেদুইনরা বরাবরই অশিক্ষিত ছিলো; নারীদের মাসিক একটি ফিজিওলজিক্যাল প্রক্রিয়া, যা মানবদেহের অন্যসব প্রক্রিয়ার মতোই।
নারীদের এই ফিলিজিওলজিক্যাল প্রক্রিটাই মানব সমাজের সৃষ্টির মুল ফিজিওলোজিক্যাল প্রক্রিয়া, ইহা কেন অপবিত্র হবে? বেকুব বেদুইনদের অনুসারী হচ্ছে আমাদের কোর্টের বেকুব জর্জ সাহেব।
বাংলাদেশের মানুষ কম-শিক্ষিত, তারা নারীদেরকে অধিকার না দেয়ার পক্ষে অনেকটা; এমন কি রাষ্ট্রও এখানে আয়েশার অধিকার হরণ করছে ধর্মের দোহাই দিয়ে; আশেয়া দেশের কোর্টে গিয়ে পরাজিত হয়েছেন, কোর্ট বলছে যে, বিয়ে হলো পবিত্র বিষয়, যেহেতু নারীরা কোন এক সময়ে "অপবিত্র" থাকেন, তাঁরা কাজী হিসেবে কাজ করতে পারবেন না, রাষ্ট্র্র একজন নাগরিকের অধিকার খর্ব করছে ইসলাম ধর্মের নামে; ইসলামে, ততকালীন বেদুইনদের অনেক প্রথা সংযোজিত হয়েছে, সেগুলো ভুল ছিলো; সেই ভুলের জন্য আজকে একজন বাংলাদেশী নাগরিক নিজের অধিকার হারাচ্ছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৭