হেফাজত জাতির জন্য কত বড় সমস্যা? আসলে বিরাট সমস্যা, এরাই আফগানিস্তানে তালেবান হিসেবে পরিচিত, এরা আছে ইয়েমেনে অস্ত্র হাতে, এরা আছে পাকিস্তানে, সুদানে, নাইজেরিয়ায়, ইন্দোনেশিয়ায়। এদের প্রধান বৈশিষ্ঠ হলো, এরা পেশাহীন, অপ্রয়োজনীয় সামাজিক সংস্কৃতির শিক্ষিত মানুষ, যারা প্রাচীন বেদুইন রীতিনীতি ও সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। এরা কোন আধুনিক প্রজাতন্ত্রের সংবিধান মানে না, এদের রাজনৈতিক ধারণা ইসলামিক সামন্তবাদ (খিলাফত ); এদের অনেকেই অপ্রয়োজনীয় খাতে আয় করে ভালো থাকে, এবং সেটাকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে আজীবন কাজ করে যায়।
আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে এরা সরকারের সাথে যুদ্ধ করছে, আফগানিস্তানে এরা ক্ষমতায় ছিলো, আগামীতে আবারো ফিরে আসতে পারে। বাংলাদেশে এদের সাথে জামাত-শিবির যোগ দেবে একদিন পুরোপুরিভাবে, বিএনপি স্বভাবের লোকজনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এদের পক্ষে থাকবে; শেখ হাসিনা বিরোধীরাও ওদের পক্ষে থাকবে; ফলে এটা একটা বড় শক্তি; এরা যেই কোন অবস্হায়, যেই কোন দেশে অরাকতা সৃষ্টি করতে পারে; বাংলাদেশে এরা যেই অবস্হানে আছে, সামনে বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর সমস্যায় পরিণত হতে পারে।
সময় আসবে, বাংলাদেশ সরকার এদের সাথে পেরে উঠবে না, তখন ২ দিক থেকে সমস্যা হবে, এদের দমনে সাধারণ নাগরিকেরা জড়িয়ে যেতে পারে, তখন সমুহ সমস্যা দেখা দেবে দেশে; তখন সেটা মিলিটারী অবধি গড়াতে পারে; মিলিটারী অবধি গড়ালে, সমস্যা হবে ভয়ংকর লেভেলের।
এই মহুর্তে অনেকেই এদেরকে শেখ হাসিনার পালিত শক্তি বলে মনে করছে; আসলে, এরা কারো পালিত শক্তি নয়, এরা ভুল শিক্ষানীতি, ভুল অর্থনীতি ও ভুল রাজনীতির উদ্যত সন্তান। দেশ এদের কিছু দেয় না, এরা দেশকে সন্মান করে না, এরা নিজ প্রচেষ্টায়, নিজেদের মতো করে বাঁচে, নিজেদের রীতিনীতি ব্যতিত অন্যদের মানে না এরা; মুসলিম দেশগুলোর গলাকাটা ক্যাপিটেলিষ্ট সিষ্টেম এদেরকে নাগরিক অধিকার থেকে বন্চিত করে নিজেদের অজান্তেই এক ভয়ানক শক্তিতে পরিণত করে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৪০