বাংলাদেশের বেশীরভাগ মানুষের এসিম্পটোমিক-করোনা হয়েছে, মনে হয়; বাংলাদেশের শহরের ঘরগুলোতে ফ্যান আছে, এবং বেশীরভাগ মানুষ জানালা খোলা রাখে; ফলে, ঘরগুলোতে ভাইরাসের ঘনত্ব খুব একটা বাড়েনি। মানুষ রাস্তাঘাটে, দোকানে গাদাগাদি করে চলে আসছে সব সময়, ইহাতে সামান্য পরিমাণ ভাইরাস প্রায় সবাই পেয়েছেন, যতটুকু খুবই দুর্বল ধরণের করোনা সংক্রমণ ঘটায়েছে; এই ধরণের দুর্বল সংক্রমণ শহরের বেশীর লোকজনের হয়েছে। বাংলাদেশের দোকানপাটও মোটামুটি খোলামেলা ও সব যায়গায় ফ্যান আছে। ফলে, দুর্বল সংক্রমণ হয়তো সবারই হয়েছে এক বা একাধিকবার।
বাংলাদেশে বায়ু দুষণের কারণে মানুষের হাঁচিকাশি লেগেই থাকে; ফলে, এসব হাঁচিকাশিতে অভ্যস্তরা দুর্বল-করোনায় আক্রাক্ত হলে, উহাকে করোনা হিসেবে নেননি; কিন্তু এই ধারণের সামান্য সংক্রমণের কারণে শরীরে কিছু পরিমাণ এন্টিবডির সৃষ্টি হয়েছে, যা ৩/৪ মাস সময় হলেও করোনা সংক্রমণে বাধা দিয়েছে।
বাংলাদেশে নিশ্চয় হাজারবার মিউটেশন হয়েছে করোনার; কোন নতুন মিউটেশানই প্রাথমিক ভাইরাস ও ডেলটা থেকে শক্তিশালী হয়নি, মনে হয়। দুর্বল ভার্সনগুলো থেকে হওয়া করোনা অনেকটা এসিম্পটোমিক হওয়ার কথা। তবে, এসিম্পটোনিক করোনা, দুর্বল মিউটেশান কিংবা স্বল্প পরিমাণ ভাইরাস থেকে হওয়া করোনাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বারবার করোনা হওয়াও বিপদজনক।
বাংলাদেশের সর্বশেষ সংক্রমণের সময়, শহরের কোন মানুষ হয়তো ইহা থেকে রক্ষা পায়নি। আমার পরিচিত যারা করোনায় ভোগেননি, কিন্তু টেষ্ট করায়েছেন, মোটামুটি প্রায় সবারই করোনা পজিটিভ ছিল।
এসিম্পটোনিক, দুর্বল করোনা, কিংবা পুরোপুরি করোনা ও ভালো হয়ে যাওয়া কিন্তু আনন্দের বিষয় নয়; যাদের করোনা হয়েছে, তাঁদের দীর্ঘমেয়াদী শারিরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে; জাতি যদি করোনাকে নির্মুল না করে, এবং একই ব্যক্তির বারবার করোনা হয়, ইহা সামগ্রিকভাবে জাতীয় স্বাস্হ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলবে। এমনিতেই বাংগালীরা স্বাস্হ্যখাতে, দেশে ও বিদেশে মিলে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪