নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশন শুরু হয়েছে মংগলবার(৯/২১/২১ ) থেকে; মুল বক্তব্যের বিষয় হচ্ছে: করোনার টিকা, জলবায়ু পরিবর্তন, রিফিউজী ও বেকার সমস্যা। গতকাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বক্তব্য রেখেছেন, নিজের দেশের অবস্হার আলোকে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট। গতকালও আমেরিকায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে, শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ টিকা নিচ্ছে না, অনেক রাজ্যে হাসপাতালে সীট খালি নেই। বিনা ঝড়ে, ৬/৭ ঘন্টার বৃষ্টিতে নিউইয়র্ক শহর ডুবে গিয়েছিলো। ভুমিকম্প হয়েছে হেইতিতে, সেখান থেকে হাজার হাজার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে পানামায় ঢুকেছে, তারা আমেরিকা আসছে; করোনার অর্থনীতির বিরূপ ফল, আমেরিকার একশ্রাণীর মানুষ কাজ করতে চাচ্ছে না।
করোনার কথা বলতে গিয়ে, বাইডেন বলেছেন যে, আমেরিকা ১.৫ বিলিয়ন ডোজ টিকা দান করেছে, ইউরোপ দিচ্ছে ১বিলিয়ন ডোজ; কিন্তু এই টিকা নিয়ে নিজদেশে দেয়ার জন্য অনেক দেশ সঠিক প্রস্ততি নিচ্ছে না, কোন তাড়াহুড়া নেই। আফ্রিকা, এশিয়া ও দ: আমেরিকার সরকারদের কম আগ্রহের ব্যাপারটি উঠে আসে আলোচনায়। আমেরিকা পৌঁচিয়ে দেয়ার ও টিকা দেয়ার খরচও বহন করছে, এরপারও অনেক দেশের সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
সেপ্টেম্বর মাসেও নিউইয়র্ক শহরে প্রচন্ড গরম; ৩ সপ্তাহ আগে বৃষ্টির পানিতে নিউইয়র্ক ডুবে যাবার পেচনে চীন ও ভারতের পরিবেশদুষণ ও এনার্জি সমস্যাকে দায়ী করেছে আমেরিকানরা। চীন ও ভারত পরিবেশ রক্ষার জন্য কোন রকমের চেষ্টাই করছে না।
আমেরিকার দ: সীমান্ত হয়ে মানুষ স্রোতের মতো প্রবেশ করছে; ভুমিকম্প হয়েছে হেইতিতে, সেখানকার সরকার দরকারী কোন পদক্ষেপ নেয়নি, মানুষকে সাহায্য করার কোন আশ্বাসও দেয়নি; হাজার হাজার পরিবার পানামার জংগলে পৌঁচেছে; সেখান থেকে পায়ে হেঁটে আমেরিকা রওয়ানা দিয়েছে। কিন্তু আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেবে কিনা,ইহা কেহ জানে না।
আফ্রিকার মানুষ নিজ দেশের রাজধানীতে যাওয়ার চেষ্টা না করে, তারা সোজাসুজি ইউরোপ রওয়ানা দিচ্ছে। তাদের সাথে যোগ দিচ্ছে এশিয়ার লোকজন। ইউরোপ কোনভাবে নতুন করে আর রিফিউজি নিতে পারছে না, তারা নিজেরাই সম্পদের অভাবে আছে; গ্রীস, পর্তুগাল, স্পেন ও পুর্ব ইউরোপে বেকারত্ব এশিয়ার দেশুগলোর সমপর্যায়ে পৌঁচেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯