আমার ধারণা, বাংলাদেশে যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো করেছেন, তারা অনৈতিক ব্যবসা করার উদ্দেশ্যেই এগুলো করেছেন; এসব লোকজন, দেশের শিক্ষার মানকে নীচে নামিয়ে এনেছে; সার্টিফিকেট সর্বস্ব পড়ালেখা চালু করে, আইনী পদ্ধতিতে মানুষের পকেট কাটছে; এরা মানসম্পন্ন শিক্ষক রাখছে না। এদের গ্রেজুয়েটদের মাঝে আমি ডাক্তার গ্রেজুয়েট দেখছি নিউইয়র্ক শহরে বাংগালী ডাক্তারদের প্রেকটিসে; এত অদক্ষ ও নীচুমানের ডাক্তারী গ্রেজুয়েট আমি জীবনে দেখিনি।
আমি এক নামকরা বাংগালী ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছি; উনার একজন এসিসটেন্ট আমার প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করে ডাটা নিচ্ছিলেন, তিনি তখন কথায় কথায় বলছিলেন যে, আল্লাহ হায়াত-মউতের মালিক, বয়স অনুযায়ী আমার শারীক অবস্হা তেমন খারাপ না; উনারা ভাইবোন মিলে ৩ জন ডাক্তার, তবুও উনাদের ৫৬ বছর বয়স্কা মা করোনায় মারা গেছেন, সবই আল্লাহের ইচ্ছা। আমি ডাক্তার থেকে জানলাম, এই এসিসটেন্ট উনার শালীর ছেলে, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিট গ্রেজুয়েট; মায়ের দিক থেকে ইমিগ্রেশন পেয়ে সবাই এখন আমেরিকায়।
ব্লগারদের মাঝে যাঁরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন, পড়াচ্ছেন, তাঁরা অবশ্যই আমার থেকে এই ব্যবসাকে বেশী বুঝার কথা; আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলুন।
আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মেয়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে ভাষা নিয়ে; মেয়েটির আচরণে কিছু সমস্যা আছে, সে ঢাকার প্রসিদ্ধ স্কুল থেকে এইচএসি শেষ করেছিলো, নামকরা স্কুলে পড়াতে তার ধারণা ছিলো সে কিছু একটা হয়ে গেছে। সে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ভাইবায় বাদ পড়েছিলো; আমার ধারণা, সে আচরণের কারণে বাদ পড়েছিলো। এখন সে প্রাইভেটে পড়ে, তার কথানুযায়ী আমার মনে হয়, দেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে নিউইয়র্ক সিটি হাসপাতালগুলোর মতো সস্তায় কর্মচারী নিয়োগ দেয়। মেয়েটি বাংলা ও ইংরেজীতে বেশ ভালো, সে নিজের থেকেই ভালো করছে; কিন্তু তার পড়ালেখায় তাদের সীমিত আয়ের পরিবার অকারণে বেশী ব্যয় করছে।
আপনারা যারা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোকে কাছের থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন, তাঁরা আপনাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩