আমেরিকায় প্রতি ৮/১০ বছর পর রিসেশন শুরু হয়, মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের চাকুরী যেতে থাকে; তখন চাকুরী খুঁজলে চাকুরী পাবার সম্ভাবনা নেই; সরকার বেকার ভাতা দেয় ৬ মাস, ১ বছর, বা সামান্য বেশী সময় ধরে। এই সময়টুকুতে আমেরিকানরা কি করে? ওরা স্কুলে ফেরত যায়, বেশীরভাগই এই সময়ে নতুন কোন প্রফেশান, যেটার চাহিদা বেশী সেটাতে ট্রেনিং নেয়। আমেরিকায় কিছুদিনের চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকলে 'সার্টিফিকেশান কোর্সগুলো' নতুন প্রফেশানে যেতে সাহায্য করে; সরকার এগুলোর খরচ দেয়। যাদের ব্যাচেলর করা আছে, তারা বেশীরভাগই মাষ্টার্স করতে যায়; তবে, মাষ্টার্স'এর খরচ সাধারণত বেশীরভাগ রাজ্য বহন করে না, এটা নিজের পকেট থেকে দিতে হয়।
ইহা নিশ্চয় ভালো সিষ্টেম; এগুলো আমেরিকায় ও পশ্চিমে গত ১০০ বছর ধরে আছে; আমাদের ব্যুরোক্রেটরা পশ্চিমে আসে উচ্চতর ট্রেনিং নিতে, মাষ্টার্স ও পিএইচডি করতে; এরা কি ঘোড়ার ডিম শিখে যায়, এগুলো চালু করতে পারে না? বানরও সময়ের সাথে অনেক কিছু শিখে, কিন্তু আমাদের ব্যুরোক্রেটরা কিছুই শিখতে পারে না, ইহাদের মগজ কি বানর থেকেও ছোট?
আমেরিকার গত বড় রিসেশন'এর শুরু ছিলো জুনিয়র বুশের প্রশাসনের শেষ বছরে, উহা ওবামার ১ম বছরকেও গ্রাস করেছিলো; ওবামা উহাকে খুবই ভালোভাবে মোকাবেলা করেছিলো। ওবামা ইহাকে যখন ফিক্স করছিলো আমি অন্য ব্লগে ছিলাম। তখন আমার মনে হয়েছিলো যে, ২০১৬, ২০১৭ সালে আমেরিকান অর্থনীতি শিখরে থাকবে, তারপর পড়তে পড়তে '১৮/'১৯ সালের দিকে আবার রিসেশন শুরু হবে; উহা সেইদিকেই যাচ্ছিলো; কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভোটে জিতার জন্য কর্পরেশনগুলোর সাথে কাজ করে, চাকুরী কাটা বন্ধ রাখে, ইহা রিসেশন ঠেকানোর জন্য সঠিক পদ্ধতি নয়; ফলে, ভোটের পরপরই ইহা ভয়ংকর রূপ ধারণ করার কথা ছিলো; হয়তো, ১৫/২০ মিলিয়নের চাকুরী যেতো; কিন্তু ট্টাম্পের সৌভাগ্য, পুরো বদনামটা "করোনা"র উপর দিয়ে গেছে, মোটামুটি ৪০ মিলিয়নের কাছাকাছি মানুষের চাকুরী চলে গেছে; এবার কিন্তু আমেরিকানরা করোনার কারণে স্কুলে যেতে পারেনি, নতুন প্রফেশানে যাওয়া মুশকিল হবে।
যখন বেকারত্ব বাড়ে, তখন মানুষকে ফ্রি ট্রেনিং দিটে হয়, ফ্রি পড়াতে হয়; এই সামান্য নিজিষটুকু আবিস্কার করা আমাদের ব্যুরোক্রেটদের জন্য কঠিন ব্যাপার; কিন্তু পশ্চিমে গিয়ে বানরের মতো শিখে আসাটাও কেন কঠিন হয়ে গেলো?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২