না, বাংলাদেশে ওমিক্রন ছড়াবে না, ছড়ালেও টের পাওয়া যাবে না; ওমিক্রন ডেলটা থেকে অনেকটা দুর্বল ভাইরাস। ডেলটা থেকে শক্তিশালী নতুন কোন মিউটেশান ঘটলে, তখন বাংলাদেশে হয়তো করোনাকে আবার স্মরণ করবে। বাংলাদেশে এখনো ১১/১২কোটী মানুষ টিকা পাননি, এই অবস্হায় বাংলাদেশ নতুন মিউটেশানের জন্য দ: আফ্রিকা থেকে বেশী উপযুক্ত যায়গা।
আসলে, ওমিক্রন যদি ডেলটাকে সরায়ে, উহার যায়গা দখল করতে পারে, ইহা একটি ভালো কাজ হবে; ইহা ডেলটা থেকে অনেক ভালো ভাইরাস।
বাংলাদেশের বড় শহরগুলোর শতকরা ৯০/৯৫ জনের করোনা হয়ে গেছে; বেশীরভাগই ছিলো 'এসিম্পটোনিক'; এবং এসিম্পটোনিক মনে হয় অনেকটা লেগেই আছে; ফলে, শহরের লোকেরা নিজেদের শরীরে নিজেরাই টিকা উৎপাদন করেছে (এন্টিবডি) ও করে চলছে। আবার, যেই ১০ কোটী ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে দেশে, তার বেশীরভাগই কৌশলে শহরের লোকেরা বেশী নিয়ে নিয়েছে। দেশে গড়ে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষের টিকা দেয়া হলে, ঢাকায় শতকরা ৬০/৬৫ ভাগের বেশী মানুষ টিকা নিয়েছেন বলে মনে হয়।
ওমিক্রন আমেরিকা ও ইউরোপকে ঝড়ের বেগে দখল করে নিয়েছে; মাত্র ৪ সপ্তাহ আগে, নিউইয়র্ক শহরে ওমিক্রন আক্রান্ত ১ জন রোগী পাওয়া গিয়েছিলো, এখন নাকি গড়ে দৈনিক ২০ হাজার আক্রান্তদের শতকরা ৭০ ভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত, কি ভয়ংকর হার! নিউইয়র্ক শহরের প্রশাসন এখনো নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়নি; তবে, অনেক বার, রেষ্টুরেন্ট ও ছোট ব্যবসা বন্ধ রাখছে।
করোনার নতুন প্রভাব দেখা যাচ্ছে আমেরিকায়, আমেরিকানরা স্বেচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে দিচ্ছে: সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ৩০ লাখ আমেরিকান চাকুরী ছেড়ে দিয়েছে; এদের একটা অংশ হেলথ-কেয়ারের লোকজন; অনেক হাসপাতালের শতকরা ২০ জনই চাকুরী ছেড়ে দিয়েছে গত ২ বছরে। আমেরিকার সাপ্লাই চেইন ও এসেন্সিয়েল থেকে মানুষ যেভাবে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে বিদেশ থেকে মানুষ আনতে হবে শীঘ্রই।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১০