বেগম জিয়া উনার ২য় টার্মে দেশে RAB চালু করেছিলো: দেশের মিলিটারী থেকে লোক এনে, স্পেশাল বাহিনী গঠন করেছিলো 'বিনা বিচারে' ২৩ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করার জন্য; RAB 'বন্দুক যুদ্ধ' নামে এক গল্প চালু করেছে, যেখানে গ্রেফতার হওয়া মানুষকে হত্যা করে যুদ্ধের গল্প ফেঁদেছে; অসহায় বাংগালী জাতি উহাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছ. প্রায় ২১ বছর পর, আমেরিকা উহার ব্যাপারে মুখ খুলেছে; এখন আমাদের সরকার ভুতের মতো আবোল তাবোল বকছে।
বেগম জিয়াকে আধা-RAB'এ ধরেছে, উনার প্রায়চিত্ত চলছে। বেগম জিয়ার সময় RAB'এর বিরোধীতা করেছিলেন শেখ হাসিনা; কিন্তু বেগম জিয়া থেকে উনি উত্তরাধিকার সুত্রে RAB পেয়ে উহাকে আরো বর্ধিত করেছেন; এখন সন্ত্রাসী ২৩ জন নেই, আছে ২৩০০০; শেখ হাসিনাও হয়তো বেগম জিয়ার মতো প্রায়চিত্ত করবেন।
খবরে দেখছি, আমেরিকার বক্তব্যে বেশী বেজার হয়েছেন আমাদের বিদেশমন্ত্রী; উনার বাড়ী কোথায়? উনার বাড়ী নিউইয়র্ক শহরের লং-আইল্যান্ডে, উনি সেখানে এক সময় কম্যুনিটি কলেজে মাষ্টারী করতেন। উনার ভাই মুহিত সাহেব বড় চাকুরী পাবার পর, উনার ভাগ্য বদলে গেছিলো, এখন উহা আকাশের সমান হয়ে গেছে, আমাদের ফরেন মিনিষ্টার; কিন্তু বাড়ী এখনো লং-আইল্যান্ডেই আছে; চাকুরী চলে গেলে আবার আমেরিকা এসে যাবেন। উনি আমেরিকাকে সঠিকভাবে জানেন, বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই বেশী জানেন; শুধু বাংলাদেশী চাকুরীটা একটু বড়; চাকুরী চলে গেলে আমেরিকা বড় হয়ে যাবে আবার।
উনি ভালোই বুঝেন, আমেরিকা যা বলেছে, উহা সঠিক; বিনা বিচারে দেশের মানুষ মারা ঠিক নয়, হোক সে সন্ত্রাসী; আমেরিকা যেই কয়জনের উপর নিষেধাজ্ঞা করেছে, ওদের কার্যকলাপ জেনেই করেছে; ঢাকা থেকে রিপোর্ট পেয়েই করেছে। এখন ভুতের মতো আবোল তাবোল বকে আমেরিকা বুঝ দেয়া যাবে না।
মোদীর উপরও নিষেধাজ্ঞা ছিলো; ভারতের প্রাইম মিনিষ্টার হওয়াতে সাময়িকভাবে উহা তুলে নেয়া হয়েছে; প্রাইম মিনিষ্ট্রি চলে গেলে উহা আবার বহাল হওয়ার কথা। এগুলো আাদের ফরেন মিনিষ্টার জানার কথা। উনি আবোল তাবোল বকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলতে পারবে না; RAB'এর যেসব হত্যাকরীদের নাম আমেরিকার লিষ্টে এসেছে, উহা থেকে যাবে; উহারা আমেরিকাতে পালাতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৪