সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কে ভুগছেন। সাধারণ মানুষ মাস্ক কেনায় ঝুঁকে পড়ছেন। মাস্ক ব্যবহার করলেই সোয়াইন ফ্লু থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা। মাস্ক ব্যবহার করলেই সোয়াইন ফ্লু থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এ ধারণা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ দিকে এখন থেকে সোয়াইন ফ্লুর ওষুধ দোকানে পাওয়া যাবে।
এ দিকে সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক পেয়ে বসেছে চিকিৎসকদের মধ্যেও। সর্দি-কাশি-জ্বর নিয়ে চিকিৎসকদের কাছে রোগী এসে জিজ্ঞাসা করছে তার সোয়াইন ফ্লু হয়েছে কি না। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন পর্যন্ত এর ওষুধ বাইরে পাওয়া যাচ্ছে না। একটি মাত্র কোম্পানির (পপুলার) ওষুধ সীমিত আকারে পাওয়া যাচ্ছে। অন্য কোনো কোম্পানির ওষুধ নেই বাজারে। সোয়াইন ফ্লু হলে ওসিল্টামিভির (এটি একটি জেনেরিক নাম) খেলেই রোগী সুস্থ হয়ে যাবে এমন প্রচারণা চালানো হলেও এই ওষুধ কোথায় পাওয়া যাবে সরকার তা জানায়নি। এ দিকে ২০০৭ সালে একটি নির্দেশনার কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলো ওসিল্টামিভির বাজারজাত করতে পারছে না। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ‘ফার্মেসিতে ওসিল্টামিভির’ বিক্রি করা যাবে না। এ নির্দেশনা গতকাল বৃহসপতিবার একটি ছাড়া ওষুধটি উৎপাদন করে এমন সব কোম্পানি মেনে চলেছে।
বাংলাদেশে বেক্সিমকো, স্কয়ার, পপুলার, এসকেঅ্যান্ডএফ, টেকনোড্রাগ এবং সরকারি ওষুধ কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) তৈরি করছে। এ ব্যাপারে ওষুধ প্রশাসন পরিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইসমাইল হোসেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে প্রথমে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমার নলেজে আছে।
ওসিল্টামিভিরের দাম অনেক বেশি সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার ইসমাইলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আগামী রোববার আমি ওষুধ কোম্পানির লোকদের সাথে বসে দামটি আরো কমানোর চেষ্টা করব। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে তৈরি হয় এমন সব কোম্পানি তাদের প্রতি ক্যাপস্যুলের দাম রেখেছে ১৮০ টাকা। ওসিল্টামিভিরের মূল কোম্পানি সুইজারল্যান্ডের রোশ। এ কোম্পানির ওষুধ বাংলাদেশে প্রতিটি ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এ দিকে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে সোয়াইন ৯৮ শতাংশ ফ্লু আক্রান্ত এমনিতেই সুস্থ হয়ে যাবে। কোনো ওষুধ দরকার পড়বে না। বাকি ২ শতাংশের নানা জটিলতা থাকতে পারে এর সাথে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, গতকাল বৃহসপতিবার আরো ১৬ জন সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৫-এ। তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাসপাতালকে এর আওতায় আনা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১টায় অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান সর্বশেষ সোয়াইন ফ্লু পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করেন। চিকিৎসকরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




